নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

হাতে মাত্র একদিন, অন্তিমকালীন সিদ্ধান্তে রাত জেগে বিশ্বকর্মা ঠাকুর বানাচ্ছেন নদীয়ার মৃৎশিল্পীরা

অন্যান্য বছর ১ মাস আগে থেকে অর্ডার পড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর, মৃৎশিল্পীরা আস্তে আস্তে গুছিয়ে রাখে কাজ।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- বর্তমান করোনা আবহে একের পর এক ধর্মীয় উৎসব যখন ম্লান হয়েছে! তখন মৃৎশিল্পীরা ও অনেকটাই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলো পুজোর জন্য। অন্যদিকে কর্মচারীদের মজুরি দিতেও কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছিলো না। ফলে কাজের ঘাটতি হয়েছে অনেকটাই।

অন্যান্য বছর ১ মাস আগে থেকে অর্ডার পড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর, মৃৎশিল্পীরা আস্তে আস্তে গুছিয়ে রাখে কাজ। কিন্তু এবারে সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা! যতই দিন এগোচ্ছে পুজো করার সিদ্ধান্ত ততোই দৃঢ় হচ্ছে। বাস লরি মোটর গ্যারেজ, ট্যাক্সি অ্যাম্বুলেন্স প্রাইভেটকার স্ট্যান্ড, রিক্সার বর্তমান রূপ টোটো স্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন যানবাহনের ইউনিয়ন বা ব্যক্তি মালিকেরা। লেদ মেশিন, জ্যাকার্ড মেশিন, সেলাই মেশিন, শ্যালো পাম্প মেশিন সহ বিভিন্ন দোকানেও অন্তিম লগ্লের সিদ্ধান্ত পুজো হচ্ছে। তবে শান্তিপুরের তাঁত শ্রমিকরা পৌষ মাসে আরেকটি বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন তাঁতিদের মঙ্গলার্থে।

হাতে মাত্র আর একদিন শরতের প্রাক্কালে মৌসুমী ফলের অভাব না থাকলেও, ঠাকুর বানাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। অনিশ্চয়তা থেকে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারেননি তারা, তাই রাত জেগে হলেও পুজো উদ্যোক্তা বা গৃহস্থের ঠাকুর বানানোর অর্ডার প্রস্তুত করতে চলছে। অন্যদিকে মঙ্গলবার হওয়ার কারণে অনেকেই রক্ষাকালী মাতা পূজা করে থাকেন। তবে বিশ্বকর্মা পেরোলেই যে পুজোর শুরু এতে বোধহয় কারো দ্বিমত নেই!

Related Articles