নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

নদীয়ার সাথে প্রণববাবুর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর, জানুন সেই অজানা কাহিনী

কংগ্রেসে ফিরে ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে এই জেলার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, বীরনগর প্রভৃতি পুরসভাকে জলপ্রকল্প সহ বহু উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করেন। বহু পঞ্চায়েতকেও তিনি এজন্য সাহায্য করেন।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যতে ভারতীয় রাজনীতিতে এক বিরাট শুন্যতার সৃষ্টি হল। দেশ পরিচালনায় বাঙালি হিসাবে তিনি যে উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন আর কেউ তা পারবেন কিনা তা ভবিষ্যৎ বলবে। আমরা স্মৃতিমেদুর হয়ে নদীয়া জেলার সাথে তাঁর যোগাযোগের কথা তুলে ধরছি। এই জেলার জনপ্রিয় বিধায়ক আনন্দ মোহন বিশ্বাসকে ১৯৮৩ সালে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জেতাতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নেন।

অর্থমন্ত্রী হিসাবে তিনিই border area development project বা BADP স্কিম প্রবর্তন করেন। এই স্কিম এ তখন কৃষ্ণগঞ্জ সীমান্ত সহ জেলার অনেক সীমান্ত এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ হয়। এর উদ্বোধনও তিনি করেন। আনন্দ বাবুকে এই উপনির্বাচনে জিতিয়ে ১৯৮৩ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত AICC অধিবেশন এ তিনি দলনেত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এই জয় উপহার দেন। ইন্দিরার মৃত্যুর পর তাঁর রাজনৈতিক দুর্যোগের সময়ও এই জেলার মানুষের একটা বড় অংশ তাঁর সাথে থেকেছে। আনন্দবাবু ছাড়াও প্রাক্তন মন্ত্রী চারুমিহির সরকার, প্রাক্তন mla রাধারমণ সাহা, নীলকমল সরকার, অরবিন্দ মন্ডল, সফিউদ্দিন আহমেদ, বিশ্বরূপ মুখার্জী প্রমুখ তাঁর সঙ্গে থাকেন।

কংগ্রেসে ফিরে ফের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে এই জেলার কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, বীরনগর প্রভৃতি পুরসভাকে জলপ্রকল্প সহ বহু উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করেন। বহু পঞ্চায়েতকেও তিনি এজন্য সাহায্য করেন। তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান কল্যাণী তে Nurul Hasan post graduate Institute of medical sciences & research যা বর্তমানে এইমস হাসপাতাল তা স্থাপনে কেন্দ্রীয় মঞ্জুরি ও অর্থ সাহায্য। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডক্টর শঙ্কর দয়াল শর্মা এর শিলান্যাস করেন। সেখানে জ্যোতি বসু এবং তিনিও উপস্থিত ছিলেন।

বিল্লগ্রামে তাঁর পূর্ব পুরুষের ভিটা হওয়ায় নদিয়া জেলার প্রতি তাঁর বরাবরের আকর্ষণ ছিল। সুসময় ও দুঃসময়ে এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত সভা সমিতি তে তিনি যোগ দিয়েছেন। আজ যারা তৃণমূলের জেলাস্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছে, অথবা জনপ্রতিনিধি হয়েছে তাদের অনেকেই সেদিন প্রণব বাবুর আশীর্বাদধন্য। শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্যের পারিবারিক সম্পর্ক প্রণব বাবুর পরিবারের সাথে, ভট্টাচার্য্য পরিবারের নব প্রজন্মের প্রত্যেক সদস্যের হাতে খড়ি তাঁরই হাতে। গতকালই রাতে বিধায়ক পৌঁছেছেন সেখানে। অন্যদিকে মহুয়া মৈত্র, শঙ্করকর সিংহ, রিক্তা কুন্ডু, উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রত্যেকেরই রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন প্রণব বাবু।

Related Articles