নিউজরাজ্য

নবমীর রাতে এই মন্দিরে ভোগ রান্না করেন স্বয়ং ‘মা দূর্গা’! ২ কোটি টাকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

এই মন্দিরে আজও অষ্টমীর রাতে নিজেই নিজের ভোগ রান্না করেন দেবী।

ইতিহাসের পাতায় রয়েছে ঝাড়গ্রামের কনক দূর্গা মন্দিরের নানা কথা। প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগের সামন্ত রাজাদের ইতিহাস আছে। এই মন্দিরে আজও অষ্টমীর রাতে নিজেই নিজের ভোগ রান্না করেন দেবী। পুজোর সময় দর্শকদের ভিড় থাকে জমজমাট। আর সেই মন্দিরে গতকাল মায়ের দর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মন্দিরের জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে এই মন্দিরের সংস্কারের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন তিনি৷ এদিন বাংলার মানুষের মঙ্গলের জন্য কনক দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগেও যতবার তিনি ঝাড়গ্রামে গেছেন, সবসময়ই কনকদুর্গা মন্দিরে পুজো দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ১ ঘন্টার বেশি সময় তিনি মন্দিরে ছিলেন। তিনি এদিন বাংলার মানুষের জন্য প্রাথনা করেছেন। শুধু এই মন্দিরই নয়, এর পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম জেলার আর একটি বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান গুপ্তমণি মন্দিরের জন্যেও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

চিল্কিগড়ের এই বিখ্যাত স্থান কনকদুর্গা মন্দির পর্যটকদের কাছেও ভীষণ আর্কষণীয় স্থান। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আতঙ্ক ভঞ্জন ষড়ঙ্গীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথাও বলেন। পুরোহিত জানিয়েছেন যে মুখ্যমন্ত্রী বারবার এখানে পুজো দিতে আসেন। কখনও কখনও পুজো পাঠিয়ে দেন। এর আগেই ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। এবার মন্দিরে এসে তিনি আরও ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরের সেবাইতদের কাছ থেকে সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা করেন।

ইতিহাস অনুযায়ী, চিল্কিগড়ের সামন্ত রাজা গোপীনাথ সিংহ এই মন্দির তৈরী করেন।এখানকার স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন যে নবমীর ভোগ রান্না করেন স্বয়ং মা দূর্গা। কয়েকবছর আগে দুইবার মায়ের মূর্তি চুরি হয়ে যায়। তবে এখন মন্দিরে সিসিটিভি রাখা হয়েছে। এছাড়া ভেষজ গাছগুলির রক্ষনাবেক্ষনের জন্য রক্ষীও রাখা হয়েছে। এছাড়া চেকপোষ্টও তৈরী হয়েছে।

Related Articles