নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

পরিযায়ী মহিলা শ্রমিকের বেশে দূর্গা প্রতিমা বানিয়ে তাক লাগালেন কৃষ্ণনগরের শিল্পী, প্রশংসার ঝড় নেটদুনিয়ায়

পুরান এবং বাস্তবের মেলবন্ধন ঘটানোর উদ্দেশ্যে কাল্পনিক জগত থেকে বাস্তবের দুর্গামাকে ফুটিয়ে তুলেছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগর শহরের রাধানগর পাড়ার শিল্পী পল্লব ভৌমিক।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী দুর্গার নয়টি রূপ। এই নয় রূপ হলো শৈলপুত্রী, ব্রহ্মচারিণী, চন্দ্রঘণ্টা, কুষ্মাণ্ডা, স্কন্দমাতা, কাত্যায়নী, কালরাত্রি, মহাগৌরী এবং সিদ্ধিদাত্রী। আমাদের সামনে দেবী দুর্গার একটিমাত্র রূপের মাটির প্রতিমা থাকলেও শরৎ কালের প্রতিপদ থেকে শুরু হয়ে নবমী পর্যন্ত, নবরাত্রির ৯ দিন এই নয়টি রূপের প্রত্যেককে এক এক দিন পূজিত করে থাকেন পুরোহিত।

অষ্টমীর দিন পূজিত হওয়া মহাগৌরী রূপ অর্থাৎ পার্বতী রূপে অসুরকে দুর্গা বধ করেছিলেন। এ তো গেল পুরাণকথা। বাস্তবিক ক্ষেত্রে সংসার সমাজেও দেবী দুর্গাকে দেখতে পাই আমরা , কিন্তু তবুও মনুষ্যসমাজে লাঞ্ছিত অত্যাচারিত হতে হয় আমাদের “মা” রুপী নারীদের। পুরান এবং বাস্তবের মেলবন্ধন ঘটানোর উদ্দেশ্যে কাল্পনিক জগত থেকে বাস্তবের দুর্গামাকে ফুটিয়ে তুলেছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগর শহরের রাধানগর পাড়ার শিল্পী পল্লব ভৌমিক।

সহজে বহনযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণের জন্য গ্লাস ফাইবার ব্যবহার করে কাঁচা মাটির রঙে সাদামাটা আটপৌরে মাকে উপস্থাপিত করেছেন তার থিমের মধ্যে দিয়ে। অন্য বছর প্যান্ডেল বা প্রতিমার থিম এর ক্ষেত্রে অনেক অর্ডার পেলেও এ বছরে এই একটিই। কলকাতার বেহালায় পূজিত হতে চলেছে পল্লব বাবু তৈরি এই থিম প্রতিমাটি।

যেখানে আমাদের চেতনা জাগ্রত করবার জন্য কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, দুর্গা, অসুর সবটাই সাদামাটা ঘরোয়া পরিবেশে দৃশ্যমান মুখের আদলে তৈরী করেছেন। পল্লব বাবু জানান প্রায় দু’মাস ধরে তৈরি করেছেন এই দেবী দুর্গার অভিনব মূর্তি। বেহালার ওই পুজো কমিটি চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে পল্লব বাবু উপরে দায়িত্ব দিয়েছিলেন।  তাই তার পছন্দ মতন প্রতিমা বানিয়েছেন শিল্পী।

Related Articles