নদীয়া সংবাদনিউজরাজ্য

হনুমানের মূর্তি স্থাপন নিয়ে নদীয়ার রানাঘাটে বিরাট জমায়েত, সাংসদ জগন্নাথ সরকারের তৎপরতায় সমস্যার সমাধান

আজ সমাধিস্ত বেদীর উপর একটি মূর্তি স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী প্রস্তুতি নিলে তাহেরপুর থানার পক্ষ থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া:- নদীয়া জেলার রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তাহেরপুর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ই ব্লকের ২৩ নম্বর রাস্তার পাশে একটি হনুমান মন্দির স্থাপন নিয়ে জল্পনা চলছিল বহুদিন ধরেই। বিগত পাঁচ মাস আগে একটি হনুমানের মৃত্যুর পর ওই স্থানে সমাধিস্ত করে এলাকাবাসী। সমাধিস্থ করার পর ওই জায়গাটির মালিকের কোনরূপ আপত্তি নেই বলে দাবি করেন এলাকাবাসী।

আজ সমাধিস্ত বেদীর উপর একটি মূর্তি স্থাপনের জন্য এলাকাবাসী প্রস্তুতি নিলে তাহেরপুর থানার পক্ষ থেকে বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর বর্তমান করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকোর্টের রায় এবং সরকারি নির্দেশে কথা ব্যক্ত করে জমায়েত না করার জন্য নিষেধ করেন। কিন্তু আগ্রহী বেশ কিছু এলাকাবাসী ওই স্থানে প্রবেশ করতে উদ্যত হলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এরপর তারা সংসদ জগন্নাথ সরকার খবর দেয়, সাথে সাথে পৌঁছে যান তিনি।

প্রশাসনের সাথে কথা বলে পাঁচ জনের এক প্রতিনিধি দল নিয়ে পুজোর ব্যবস্থা করেন এবং তিনি কথা দেন ওই স্থানে শুধু মন মূর্তি নয় মন্দির তৈরি করা হবে আরও বড় করে। এর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ জানান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী “রাম নামে ভয় পাচ্ছেন!” এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি হয়ে গেলো।.

আর তাহেরপুরের হনুমান মন্দির হবে না।  মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করা এই সরকার আর বেশিদিন নয়.শুধুই সময়ের অপেক্ষা। যদিও প্রশাসনিক সূত্রে খবর পাওয়া যায়, শুধু ওই স্থান বলে নয় বাংলা সর্বোত্র জনগণের স্বাস্থ্যের মঙ্গলার্থে বহু ঐতিহ্য পূর্ণ রীতিনীতি বন্ধ রয়েছে! সকলে সুস্থ থাকলে পুজো থাকবে প্রতি বছর।

Related Articles