দেশনিউজ

ভেজা কাপড় থেকে উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ! অভিনব আবিষ্কার করে তাক লাগালেন বাঙালি গবেষক

এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া যাবে, আবার ছোটখাটো চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে এই বিদ্যুৎ পদ্ধতি খুব কাজে লাগবে।

Advertisement
Advertisement

এ যেন এক অভিনব আবিষ্কার। ভিজে কাপড় থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার প্রযুক্তি আবিষ্কার করে তাক লাগালেন ত্রিপুরার ইঞ্জিনিয়ার শঙ্খশুভ্র দাস। আর এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া যাবে, আবার ছোটখাটো চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার করতে এই বিদ্যুৎ পদ্ধতি খুব কাজে লাগবে। এই নতুন আবিষ্কারের ফলে উপকার পাবেন কোটি কোটি ভারতবাসী।

আগরতলা থেকে প্রায় ৬০ কিমি দূরের সিহাহিজলার বাসিন্দা সে। আগরতলা এনআইটি-এর প্রাক্তনী শঙ্খশুভ্র দাস শিলচর এনআইটি থেকে এম টেক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বর্তমানে আইআইটি খড়্গপুরে পিএইচডি করছেন। তিনি কিভাবে তৈরী করলেন এই জিনিস? নির্দিষ্ট আয়তনে কেটে রাখা কয়েক সেন্টিমিটার কাপড়ে প্লাস্টিকের স্ট্র সেঁটে অর্ধেক ভর্তি জলের পাত্রে রাখেন। স্ট্র-এর দুই প্রান্তে তামার ইলেকট্রোড যুক্ত করা হয়। এরপর কিছু সময়ের মধ্যে স্ট্র-এর ভিতর দিয়ে জল উপরে উঠতে থাকে এবং তার জেরে ৭০০ মিলি ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

শঙ্খশুভ্র নিজেই জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ায় ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এলইডি বা ছোট মাইক্রোচিপ ব্যবহারের জন্য ৩০-৪০টি এমনই যন্ত্র একসঙ্গে কাজে লাগিয়েছে তাঁর দল। এতে ১২ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ দিয়ে মোবাইল ফোনে চার্জ দেবার পাশাপাশি ছোটখাটো মেডিক্যাল যন্ত্র চালু রাখতে এবং খুদে এলইডি জ্বালাতে কাজে লাগানো গিয়েছে। তাঁর এই অভিনব আবিষ্কারের জন্য নভেম্বর মাসেই তাঁকে গান্ধিয়ান ইয়ং টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন পুরস্কারে সম্মানিত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন।

তিনি এটাও জানিয়েছেন, ‘এটি একটি আর্থিক সহায়তাপ্রাপ্ত গবেষণা প্রকল্প, যার দ্বারা প্রান্তিক অঞ্চলে ন্যূনতম খরচে স্বল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রকল্পের কাজের জন্য তাই কাপড় ভিত্তিক উপাদানের সাহায্যে কার্যকরী যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, বাইরে থেকে জল পাম্প করার প্রক্রিয়া আমরা ব্যবহার করব না।’ এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের দৌলতেই গান্ধীয়ান ইয়ং টেকনোলজিক্যাল ইনোভেশন ২০২০-এর জাতীয় সম্মানের পালক জুড়ল তরুণ বিজ্ঞানীর মুকুটে।

Related Articles