দেশনিউজ

দেশের যেকোন প্রান্তে বসেই দিতে পারবেন আপনার মূল্যবান ভোট, অভিনব পথ তৈরি করছে নির্বাচন কমিশন

Advertisement
Advertisement

২০২১ ভোটের আবহেই নতুন পরিকল্পনা করল ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। জানা গেছে, ভোট দিতে যাওয়ার জন্য আর নিজের কেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেওয়ার দরকার পড়বে না। বরং সাধারণ মানুষ দেশের যে কোনও প্রান্তে বসেই ভোট দিতে পারবেন। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ‘রিমোট ভোটিং’ নামক এমনই এক পদ্ধতির বন্দোবস্ত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। খুব শীঘ্র তার মহড়াও শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচুর ব্যস্ত কমিশন। তারই মধ্যেই গত রবিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এই পরিকল্পনার কথা জানান। ভবিষ্যতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সহজসাধ্য করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৫শে জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন তিনি। তিনি আরও জানান, “আপাতত গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে এই বিষয়টি। আইআইটি মাদ্রাস সহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন এই পরিকল্পনার সাথে যুক্ত রয়েছে। কাজ ভালোই এগোচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে। খুব শীঘ্রই মহড়াও শুরু করা হবে বিষয়টি নিয়ে।” উল্লেখ্য, পড়াশোনা, চিকিৎসা অথবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকার দরুণ প্রতি নির্বাচনেই বহু মানুষ ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। নির্দিষ্ট কেন্দ্র ছাড়া অন্য কেন্দ্রের বুথে যেহেতু ভোট দেওয়া নিয়মবিরুদ্ধ, তাই ভৌগোলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে বহু মানুষই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। আর সেই কারণেই এমন উদ্যোগ কমিশনের। উদ্যোগটি সফল হলে দেশের যে কোনও প্রান্তে বসে যে কোনও অঞ্চলের ভোটার ভোট দিতে পারবেন।

তবে শুধু এই পরিকল্পনাই নয়, পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা ভারতীয়দেরও পোস্টাল ব্যালট পরিষেবা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে এ নিয়ে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা এগিয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি, কোভিড পরিস্থিতিকালীন বিহারে নির্বাচন করিয়েছে কমিশন। তাতে ভোটদানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এর ফলে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মানুষদের আর্জি জানিয়েছেন অরোরা, যে, নির্ভয়ে, কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ভোট দিতে আসা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সি-ভিজিল অ্যাপ চালু করেছিল কমিশন। সেই অ্যাপে কোথাও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হলে, সরাসরি কমিশনকে রিপোর্ট করতে পারেন সাধারণ মানুষ। নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য এমন আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের, এটাও জানিয়েছে কমিশন। অন্যদিকে সোমবারই ই-এপিক কার্ড চালু করবেন তাঁরা। ওই কার্ডের মাধ্যমে সহজে ভোটার তালিকায় নাম তোলা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও ‘হ্যালো ভোটার্স’ এবং ‘ওয়েব রেডিয়ো’ এই দুটি অ্যাপ-এর মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে।

Related Articles