সত্যি বিচিত্র এই সমাজ, সমাজের কত ঘটনাই ঘটে অদ্ভুত অদ্ভুত। কেউ সমস্যায় পড়ে অত্যাচারিত হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ডিভোর্সের জন্য। আবার কেউ মনের মিল না হওয়ায় বাধ্য হয় ডিভোর্সের পথকে বেঁছে নিতে। কিন্তু কখনো শুনেছেন স্বামীর ঝগড়া করে না বলে স্ত্রী ডিভোর্স চাইছে? নিশ্চয়ই শোনেননি, এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে।
বিয়ের পর প্রত্যেকেই চায় তার সংসার সুখের হবে নির্ঝঞ্ঝাট হবে ,সেখানে ঝগড়া থাকবে না। কিন্তু এ একেবারে উল্টো ঘটনা। কথায় বলে বোবার শত্রু হয় না। কিন্তু এবার বোবারও শত্রু প্রয়োজন তা প্রমাণ করলেন উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলার এক মহিলা। স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসা মানতে না পেরে দ্বারস্থ আদালতের ওই মহিলা। মহিলার দাবি, ‘উনি আমায় অতিরিক্ত ভালবাসেন। কখনও ঝগড়া করেন না। আমি ভুল করলেও সবসময় হাসিমুখে ক্ষমা করে দেন। আমি এমন জীবন চাই না। মাঝে মাঝে তর্ক-বিতর্ক করতে চাই। এই অতিরিক্ত ভালবাসায় দমবন্ধ লাগে আমার। তাই বিচ্ছেদ চেয়েছি’।
মাত্র দেড় বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। আর এই কদিনের মধ্যেই স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসায় তিতিবিরক্ত স্ত্রী। আর তাই সুবিচারের দাবি নিয়ে আদালতে যান ওই মহিলা। আদালতের আপিলে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ‘স্বামীর অতিরিক্ত ভালবাসা এবং ভাল মানুষির ঠ্যালায় তিনি তিতিবিরক্ত। তাই বিচ্ছেদ চান’। তার কথা শুনে এক প্রকার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় আদালতে উপস্থিত সকলের। যদিও শরিয়া আদালত মহিলার পিটিশন খারিজ করে দেয়। আদালত বলেছে, মহিলা অবুঝের মতো করছেন।
তবে,মেনে নেওয়ার পাত্রী নন সেই মহিলা, আদালত ফিরিয়ে দিয়েছে তো কি হয়েছে দরজা খোলা পঞ্চায়েতের। তাই একই দাবি নিয়ে তিনি হাজির হন পঞ্চায়েত। কপাল খারাপ পঞ্চায়েত তাঁকে জানিয়েছে তার এই উদ্ভট সমস্যা সমাধান করতে তারা পারবে না। পঞ্চায়েত স্বামী-স্ত্রী দুজনকে নিজের সমস্যা নিজেকে মিটিয়ে নিতে উপদেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে মহিলার স্বামীর দাবি, তিনি সবসময় স্ত্রীকে খুশি রাখতে চান। তাই এই ব্যবহার করেছেন। যাই হোক এবার আপনাদের বলি, সাবধান যদি স্বামী বা স্ত্রীর সাথে একটু ঝগড়া না করেন তাহলে আজ থেকেই অল্প অল্প করে শুরু করে দিন ঝগড়া করা। কারণ কে জানে কোন দিন আপনার স্বামী বা স্ত্রী ঝগড়া করেন না এই দাবি তুলে দ্বারস্থ হতে পারে আদালতের।