নিউজবিনোদন
Trending

শেষ রক্ষা হল না, সামনে আসলো আরও ১৮ জন বলিউড তারকার নাম, ফাঁসিয়ে দিল রিয়া

Advertisement
Advertisement

সুশান্ত মৃত্যু রহস্যে ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। আর তাতে নাম জড়িয়েছে সুশান্তের বান্ধবী অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। বেশ কয়েক দিন ধরেই NCB দফতরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রিয়া চক্রবর্তীকে। কিন্তু এবার যেন কেঁচো খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে এক কেউটে। সুশান্তের মৃত্যুতে ড্রাগ মামলায় প্রকাশ্যে তাবড় তাবড় বলিউড সেলেবদের নাম।

জোর ফাঁসান ফেঁসে গিয়েছে সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডের মূল কান্ডারী রিয়া চক্রবর্তী। NCB-র একটা টানা জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন রিয়া। আর মুখ খুলতেই প্রকাশ্যে এলো বিস্ফোরক তথ্য। NCB কর্তাদের সামনে দীর্ঘ জেরায় রিয়া জানান বলিউডের ১৮-১৯ জনের নাম যারা নিয়মিত ড্রাগ নেন৷ তবে, তারা কারা তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু এক সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সূত্রে খবর, ড্রাগ নিয়ে রিয়া যা যা বলেছেন সেই সমস্ত তথ্য এনসিবি এখন সিবিআই এবং মুম্বই পুলিশের কাছে তুলে দেবে ৷ এমনকি রিয়ার ভাই সৌভিকের পর এবার মনে করা হচ্ছে যেকোনো সময় ড্রাগ মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন রিয়া চক্রবর্তী।

উল্লেখ্য, এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী গত শুক্রবার একটানা জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯ টা নাগাদ মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করেছে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর সেই ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই।সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি।

অন্যদিকে রবিবার, NCB-র বারবার প্রশ্নের মুখে মুখ খুলতে বাধ্য হয় রিয়া। NCB- আধিকারিকরা প্রশ্ন করে সে তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়ে মাদক আনাতেন কিনা,সেই প্রশ্নের জবাবে রিয়া বলেন ‘হ্যাঁ’। যদিও কার জন্য মাদক আসতো, সেবিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। রবিবার টানা ৬ ঘণ্টা জেরা করা হয় সুসান বান্ধবী রিয়াকে। NCB সূত্রে খবর, ১৭ মার্চ অর্থাৎ সুশান্তের মৃত্যুর তিনদিন পরেও মোটা টাকার বিনিময়ে যে ড্রাগ কেনা হয়েছিল জায়েদের থেকে, তাও তিনি জানতেন। তবে, এ যাবত ঘটনায় চক্রবর্তী পরিবারের সম্মান ধূলোয়ে মিশে যাচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিত চক্রবর্তী৷

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles