দেশনিউজ

সরকারি ঘোষণা, দেশের এইসব শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা

অটল বিমিত ব্যক্তি কল্যাণ যোজনা (এবিভিকেওয়াই)-য় এই শ্রমিকদের মজুরির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করতে প্রচারে নামছে কেন্দ্রীয় সরকার।

লকডাউনের ফলে বহু শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। আর এবার এই কাজ হারানো শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র। অটল বিমিত ব্যক্তি কল্যাণ যোজনা (এবিভিকেওয়াই)-য় এই শ্রমিকদের মজুরির ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করতে প্রচারে নামছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও এই প্রকল্প ২০১৮-জুলাইয়ে শুরু হয়েছিল, কিন্তু তেমন সাড়া মেলেনি। তাই আগস্ট পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত তেমন সাড়া মেলেনি। তবে ধীরে ধীরে তা বাড়বে বলে তারা আশা করছেন। এই বিজ্ঞাপন দিয়ে উপভোক্তাদের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছনোর পরিকল্পনা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে লকডাউনে যেই শ্রমিকরা কাজ হারিয়েছেন, তারা ইএসআই অফিসে আবেদন করলে তিন মাসের অর্থাৎ ৯০ দিনের মজুরির ৫০ শতাংশ পাবেন।

তবে কোনো শ্রমিক লকডাউনে একবার কাজ হারিয়ে কোথাও কাজ করলেও এই আবেদন করতে পারবেন। আর ক্ষতিপূরণ পাবেন তারা। তবে মনে রাখতে হবে, এই আবেদন করতে হবে সশরীরে ইএসআই অফিসে গিয়ে। আর যারা আগে থেকেই ইএসআই সদস্য, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন। তবে তাদের ক্ষেত্রে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কাজ হারালেও সেই দিকটা বিবেচিত হবে।

এই প্রকল্প চালুর সময় কাজ হারানো শ্রমিকদের জন্য সর্বোচ্চ সাহায্যের পরিমাণ ছিল মজুরির ২৫ শতাংশ। তবে মেয়াদ বৃদ্ধির সময় সেটা দ্বিগুণ অর্থাৎ মজুরির ৫০ শতাংশ ক্ষতিপূরণের সংস্থান করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও শ্রমিকদের তেমন কোনো উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, মেয়াদ ও মজুরির ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানোর পর থেকে প্রতিদিন গড়ে ৪০০-র মতো আবেদনপত্র জমা পড়ছে। কিন্তু এই সংখ্যা অনেক কম। এর কারণ হল অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে জানেন না। কারণ টিভি, সংবাদপত্রে এই কোনো সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন নেই। মানুষের কাছে প্রচারের ব্যবস্থা করলে তবেই সাধারণ মানুষের কাছে সেই প্রকল্প পৌঁছবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Related Articles