দেশনিউজ

সংকটের আবহে স্বস্তির খবর, এবার শ্রমিকদের বেকার ভাতা দেবে সরকার

Advertisement
Advertisement

দমকা হাওয়ার মতো উড়ে এসে দেশ জুড়ে জাঁকিয়ে বসেছে অদৃশ্য ভাইরাস করোনা। করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশজুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। কিন্তু এই লকডাউনের জেরে আর্থিক সংকটে পড়ে বহু মানুষ। অনেকের পকেটেই ধরে টান। রোজগার হারিয়ে অনেকের বাড়িতে চড়ছে না হাঁড়ি। তবে, কঠিন সময়ে মানবিক কেন্দ্রীয় সরকার। এবার দেশবাসীর আর্থিক সমস্যা মেটাতে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের।

এবার প্রায় ৪১ লক্ষ শ্রমিককে বেকারত্ব ভাতা দিতে চলেছে কেন্দ্র। এই সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা হয়েছে যাতে তাদের তিন মাসের মাইনের ৫০ শতাংশ দেওয়া যায় বেকারত্ব ভাতা হিসাবে। ২৪ মার্চ ও ৩১ ডিসেম্বর ২০২০-র মধ্যে চাকরি হারানো বা সম্ভাব্য চাকরি হারানোর ক্ষেত্রে এই ভাতা দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গওয়ারের নেতৃত্বে ইএসআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য নিয়ম শিথিল করল কেন্দ্রীয় সরকার। এই প্রসঙ্গে ইসিআইসি বোর্ডের অমরজিৎ কৌর জানিয়েছেন, এর আওতায় ইএসআইসির আওতাভুক্ত শ্রমিকরা তাঁদের বেতনের ৫০% নগদ বেকার ভাতা (ইএসআইসি স্কিম) হিসেবে পেতে পারেন।

সমীক্ষা বলছে,এই মুহূর্তে প্রায় ৮০ লাখ কর্মী ইএসআইসি স্কিমের সঙ্গে যুক্ত আছেন ও বর্তমানে চাকরি হারিয়েছেন। তবে, শ্রমিকদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ০.৭৫ শতাংশ এবং নিয়োগকারীর কাছ থেকে প্রতি মাসে ৩.২৫ শতাংশ ইএসআইসি জমা হয়। অন্যদিকে যেসব শিল্পকর্মীরা প্রতি মাসে ২১হাজার বা তার চেয়ে কম বেতন পান তাঁদের ইএসআইসি প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এই ধরনের কর্মচারীদের প্রতি মাসের বেতনের একটি অংশ কেটে নেওয়া হয়, যা ইএসআইসির মেডিক্যাল বেনিফিট হিসাবে জমা হয়।

জানা যাচ্ছে, এই ভাতা ২৪ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদকালের মধ্যে তিন মাসের জন্য পাওয়া যাবে। তবে, অন্তত দু’বছর ইএসআইসি- র আওতায় থাকতে হবে শ্রমিকদের। ২০১৮-র ১ এপ্রিল থেকে ২০২০-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত, গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ২০২০-র ৩১ মার্চের মধ্যে এই শ্রমিকদের অন্তত ৭৮ দিনের কাজের রেকর্ড থাকতে হবে। এই নতুন নিয়মে শ্রমিকরা নিজেদের টাকা সরাসরি ইএসআইসির শাখা অফিস থেকেই তুলতে পারবেন। মনে করা হচ্ছে এই সিদ্ধান্তে লাভবান হবেন অনেকেই।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles