এদেশে যে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা রয়েছে তার আন্দাজ প্রায় সকলেরই আছে। সরকারী ক্ষেত্রেও যে দেশ জুড়ে কালো টাকার উপস্থিতি মেনে নেওয়া হয়েছে তা বোঝা গেছিল নোট বন্দির সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে। এবার হাতে নাতে তা প্রমাণ করলো আয়কর দপ্তর। ঘটনাটি চেন্নাইয়ের।
প্রশ্ন একজন সরকারি ঠিকাদারের সম্পত্তির পরিমাণ কত হতে পারে? উত্তরে যদি জানানো হয়, তার সম্পত্তির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা, তাহলে? চোখ কপালে উঠতে বাধ্য! একজন সরকারি ঠিকাদারের সম্পত্তির পরিমাণ কীভাবে ৭০০ কোটি হয় কিছুতেই সেই অংক মেলাতে পারছেন না আয়কর দফতরের কর্তারা।
রিয়েল এস্টেট ও অন্য ব্যবসা থেকে ৭০০ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলে দাবি করেছেন ওই অভিযুক্ত ঠিকাদার। তবে তিনি দেড়শো কোটি টাকার বেশি অংকের হিসেব দেখাতে পারেননি তিনি। তাঁর এই যুক্তি মেনে নেন নি আয়কর দফতরের কর্তারাও। চেন্নাইয়ে রাস্তা নির্মাণের ঠিকা পেয়েছিলেন একজন ঠিকাদার। বছর দুয়েক আগে সেবারও সেই সরকারি ঠিকাদারের বাড়িতে হানা দিয়ে আয়কর দপ্তর প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের টাকা, অলংকার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
দূর্নীতির প্র্যাকটিস এদেশে বহু পুরানো। সেই জাল যে বহুগভীরে ছড়ানো তা কার্যত মেনে নিয়েছেন আয়কর দফতরের কর্তারা। গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর হওয়া কর্তাদের ওই সার্চ অপারেশনের পর অভিযুক্ত ঠিকাদারের কাছ থেকে উদ্ধার হয় নগদ ২১ কোটি টাকা। সেই টাকারও কোনও উৎস জানাতে পারেননি ঠিকাদার। আয়কর দফতর এখনো সেই ঠিকাদারের নাম প্রকাশ না করলেও জানা গেছে বেশ কয়েকজন ছোটখাটো সরকারি ঠিকাদারও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।