টার্গেট ভারত, পাকিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে ভয়ংকর ষড়যন্ত্র করছে চীন, কাশ্মীরে ধরা পড়লো বিশাল প্রমাণ
একেই করোনা আতঙ্কে জেরবার গোটা দেশ তথা বিশ্ব। এরই মাঝে চিনা হামলায় ভারতীয় জওয়ানদের শহীদ হওয়ার পর থেকেই তৎপর দেশ। ইতিমধ্যেই চিনা দ্রব্য বয়কট করেছে ভারত। কিন্তু ভারতকে বিপাকে ফেলতে জম্মু-কাশ্মীরকে নিশানা করতে চাইছে চিন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কাশ্মীর উপত্যকাকে উত্তপ্ত করে তুলতে নির্দেশ মতো বেজিং থেকে পৌঁছে গিয়েছে পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতে। ওই নির্দেশে ড্রোনের মাধ্যমে বা সীমান্তে চোরাকারবারিদের মদতে কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে যেন প্রচুর অস্ত্র পৌঁছে দেয় পাকিস্তান। আর সেই চেষ্টায় যে খামতি রাখছে না রাওয়ালপিণ্ডিতে তা স্পষ্ট।
সরকারি সূত্রে খবর,পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই উপত্যকায় বারুদের স্তূপ গড়তে চায় আর উদ্দেশ্যপূরণে পাকিস্তানকে প্রশ্রয় দিচ্ছে চিন। সম্প্রতি,ভারত-পাক সীমান্তে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে নামায় ভারতীয় বাহিনী।এমনকি চিনা অস্তরনির্মাতার ছাপ রয়েছে ড্রোন থেকে উদ্ধার হওয়া হাতিয়ারগুলির গায়ে। ফলে এটা পরিষ্কার কাশ্মীরে চিন-পাকিস্তান ষড়যন্ত্র চলছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও সেনার যৌথ বাহিনী বৃহস্পতিবার অভিযান চালায়। রাতে অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীদের উপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দিতে ছাড়েনা নিরাপত্তারক্ষীরা। চলে গুলির লড়াই। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় দুই জঙ্গির মৃতদেহ। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বেশ কিছু জেহাদি কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে। লুকিয়ে থাকা বাকি জঙ্গিদের সন্ধানে এখনও তল্লাশি চলছে বলে খবর। তবে,ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিজ্ঞতা বলছে,শিশির বা বরফে চাপা পড়ে থাকে সীমান্তে থাকা বিস্তৃত ঝোপঝাড় শীতে।তাই সাধারণত গরমের সময়টাই উপত্যকায় অনুপ্রবেশ ঘটানোর জন্য বেছে নেওয়া হয়ে থাকে। আর কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ এবং অস্ত্র পাচার বন্ধ করতে কড়া পাহারায় ভারত। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। তার জেরে এসব কাজে বাধা পাচ্ছে পাকিস্তান।