সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই মাদক চক্রের হদিশ পেয়েছে ইডি। মাদক চক্রে জড়িত থাকার কারণে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। এরই মাঝে জেরায় মাদকচক্রের যুক্ত আছে এরকম বেশ কিছু হাই প্রোফাইল বলি তারকার নাম নিয়েছে রিয়া। আর সেখানে নাম জড়িয়েছে সাইফ আলী খানের কন্যা সারা আলি খানেরও। এবার সারার ড্রাগস নেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন সুশান্তের ড্রাইভার।
বর্তমানে বাইকুলা জেলে দিন কাটছে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। গত মঙ্গলবারই এনসিবির জেরার মুখে সব শিকার করে সুশান্ত বান্ধবী রিয়া। ড্রাগ ও নিয়মিত মাদক সেবন করার অপরাধে ওইদিনই গ্রেফতার করা হয় রিয়া চক্রবর্তীকে। NDPS আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় রিয়া তাঁর দোষ কবুল করেন। এরই মাঝে তদন্তকারীদের জেরায় ২৫ জন বলিউডের A-listers নাম জানিয়েছে রিয়া যারা সকলেই ড্রাগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সেখানে রিয়া নাম নিয়েছে অভিনেত্রী সারা আলি খানের। বলিউডে কান পাতলে শোনা যায় সারা আলি খানের সঙ্গে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের যদিও তা মর্যাদা পায়নি।
মাদক সংক্রান্ত প্রসঙ্গে আরও জানতে এবার সুশান্তের ড্রাইভারকে জেরা করল সিবিআই৷ সম্প্রতি সুশান্তের ড্রাইভার এক সংবাদমাধ্যমকে জানায়, ‘সারা ও সুশান্ত একসঙ্গে বহু সিনেমার প্রোমোশনে যেতেন এবং একই গাড়িতে যেতেন তার। সুশান্তের সঙ্গে সারা-র বন্ধুত্ব ছিল৷ যদিও সারা কখনই সুশান্তের বাড়িতে আসেননি৷ আর আমি কখনও ওদের ড্রাগসও নিতে দেখিনি৷ বরং আমি যতদিন কাজ করেছি, সুশান্ত খুবই ভালো লাইফস্টাইলে থাকতেন।কিন্তু তাইল্যান্ড ট্রিপ থেকে ফিরে সারা ও সুশান্ত তেমন যোগাযোগ রাখেনি ৷ বিমানবন্দর থেকে সুশান্ত একাই গাড়িতে উঠেছিলেন’৷
সূত্রের খবর, মাদক চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তী সারা আলি খান, অভিনেত্রী রকুল প্রীত সিংয়ের ‘দিল বেচারা’র পরিচালক মুকেশ ছাবড়া ও সুশান্তের পুরোনো ম্যানেজার ও বন্ধু রোহিনী আইয়ার নাম নিয়েছে। উল্লেখ্য, এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। এরপর সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি। আর এরপর গ্রেফতার হয় রিয়াও।