গত ১৪ জুন দিনটি সকলের কাছে নেমে আসে আঁধার। ওইদিন সকালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। যদিও তা মানতে নারাজ অভিনেতার পরিবার ও অনুরাগীরা। যতদিন এগোচ্ছে ততোই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে। অন্যদিকে অভিনেতার দেহ উদ্ধার করার জন্য নাকি ঘরের দরজার তালা ভাঙতে হয়, যদিও কে সে দরজা ভেঙেছে তা রহস্যের আড়ালে। কিন্তু এবার প্রকাশ্যে সেই সেই চাবিওয়ালা। সুশান্ত মৃত্যু কান্ডের পর্দা ফাঁস চাবিওয়ালার।
সম্প্রতি ওই চাবিওয়ালা দাবি করেছেন, তাকে নাকি তালা ভাঙ্গার জন্য ২ হাজার টাকায় রফা করা হয়েছিল। ওই চাবিওয়ালার বক্তব্য সুশান্তের ঘর বন্ধ থাকায় তাঁকে ডেকে এনেছিলেন সুশান্তের বন্ধুরা। কিন্তু তাঁকে ডেকে এনে লক খোলানো হলেও সেদিন দরজার লক খোলার পরেই তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন বাকিরা। কেউ তাঁর সামনে দরজা খুলতে চাননি। এমনকি সিদ্ধার্থ পাঠানিও দরজা খোলেননি। টাকা দিয়ে তাঁকে দ্রুত চলে যেতে বলা হয়।
তার মানে এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হচ্ছে ওই চাবিওয়ালা দেখেনি সুশান্তের মৃতদেহ। তাহলে কি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে অন্য কেউ? নাকি ওই চাবিওয়ালা কিছু লুকাচ্ছেন? যদিও তা তদন্ত সাপেক্ষ। প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের বান্দ্রার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তার নিথর দেহ। বহুবার সুশান্তের মৃত্যুর পর উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ। অন্যদিকে সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা অভিনেতার মৃত্যুর জন্য অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ইতিমধ্যেই মুম্বাই পুলিশ সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে বলিউডের নামিদামি অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক-পরিচালক সকলকেই ডেকে তদন্ত করেছে। কিন্তু ক্রমাগত রহস্যের জল গড়াচ্ছে অন্যদিকে।
অবশেষে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে সুশান্ত মৃত্যু মামলা তদন্ত করবার পূর্ণ জুরিসডিকশন ছিল পাটনা পুলিশের কাছে। এই মামলার এফআইআর দায়ের করবার বিহার সরকারেরও পূর্ণ অধিকার রয়েছে, এমনকি অধিকার রয়েছে এই মামলার সিবিআই তদন্তের সুপারিশ সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার। সুশান্ত মৃত্যু কান্ডের রহস্য ফাঁস করতে ময়দানে নামার ছাড়পত্র পেল সিবিআই। সিবিআই জারি রাখবে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ খারিজ করে দিল সুশান্ত মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর পিটিশন।