ভাঙ্গন আর তৃণমুল যেন সমার্থক হয়ে গেছে এই ক’দিনে। দলের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে দলেরই নেতা-কর্মীদের। আর তাঁর ফলেই বাড়ছে পদত্যাগ ও দলছাড়ার ঘটনা। শীলভদ্র, রাজীব, শুভেন্দুর গোঁসার মাঝেই এবার মালদায় অভ্যন্তরীন বিক্ষোভের মুখে পড়ল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এদিন একযোগে পদত্যাগ করলেন মালদায় দলের ৬ জন অঞ্চল সভাপতি।
আগেই সরকারি পদ ও মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার বিধানসভায় গিয়ে সচিবের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তিনি। নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনও পর্যন্ত নীরবতা বজায় রাখলেও আন্দাজ করা হচ্ছে আগামীকাল তমলুকে একটি সভার পর দিল্লি রওনা হবেন শুভেন্দু। তাঁর দলবদলের রূপরেখা চূড়ান্ত হবে সেখানে। শনিবার নিজের শহরে অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। দীর্ঘদিন মালদহে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। ফলে একযোগে ৬ জন অঞ্চল সভাপতির পদত্যাগ জে তারই প্রভাবে তা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই রাজনৈতিক মহলে। কেউ প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও জল্পনা তুঙ্গে।
গত কয়েক দিন ধরেই ‘বেসুরো’ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। দলনেত্রী দল ভাঙানোর জন্য বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করে নিশানা সাধলেও একের পর এক পদত্যাগ স্পষ্ট করছে যে দলে রাশ টানতে তিনি ব্যর্থ। শুভেন্দুর পর বিক্ষুব্ধের তালিকায় বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল, আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বিধায়ক পদ ইস্তফা দেওয়ার পর সুনীল মন্ডলের বাড়িতে পৌঁছান শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল নেতা কর্ণেল দীপ্তাংশু চৌধুরী, জিতেন্দ্র তিওয়ারি সহ আরও বেশ কয়েকজন।
দলের অন্দরের খবর, বিক্ষোভের মুল কারণ Team PK। সাংসদ সুনীল মন্ডলের বক্তব্য, ”Team PK মূল কালপ্রিট। আমি মনে করি, Team PK-এর জন্যই তৃণমূলে এই ভাঙন।” কারণ যাই হোক না কেন, বিক্ষোভের রেশ যে এবার জেলাগুলিতেও ছড়াতে শুরু করেছে তাঁর প্রমাণ দিল মালদহের এই ঘটনা।