নিজের প্রতিভায় সারা বিশ্বকে এক মিনিটের হার মানালো জলপাইগুড়ির এই মেয়ে। তার এই প্রতিভা লেখা হলো দ্য বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। বলপেনের সাহায্যে অতিক্ষুদ্র ছোলার ওপর jalpaiguri অবয়ব তুলে ধরেছেন তিনি।
আর সব থেকে অবাক করা বিষয় এরজন্য কোনো মাইক্রোস্কোপেরও ব্যবহার করেননি তিনি। সমগ্র শিল্পকর্মটি ফুটিয়ে তুলেছেন খালি চোখে, তাও মাত্র এক মিনিট সময়ে।
শুভ্রা মন্ডল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজ বেরুবাড়ির 1 নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গ্রাম ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। জলপাইগুড়ির এক কলেজে ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সে। ছোট থেকেই ছবি আঁকার শখ থাকলেও অভাবের তাড়নায় অষ্টম শ্রেনীর পর আকার প্রথাগত শিক্ষা থেকে বিরত থাকতে হয় শুভ্রাকে।
কিন্তু প্রতিভা আর ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মানল সেই অভাব। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মাইক্রোআর্টে নিজের প্রতিভা প্রকাশ্যে আনলেন। মাইক্রোস্কোপ ছাড়া মাইক্রোআর্টে কবিগুরুর প্রতিকৃতি স্বীকৃতি পেল আন্তর্জাতিক স্তরে। সবাই যখন সকলে সামাজিক মাধ্যমে নিজের প্রতিভা তুলে ধরতে ব্যাস্ত তখনই তার আকা রেকর্ড করার ভাবনা আসে। সেই ভাবনা থেকে নানা জিনিসের ওপর চেষ্টা করতে থাকে এই মাইক্রো আর্টের। ব্যর্থতা আর প্রচেষ্টার মাধ্যমেই দক্ষ হয়ে ওঠে সে।
ছোলার ডালের ওপর এই ছবি আঁকায় সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। এক মিনিট সময়ের মধ্যে সাত মিমি ব্যাসের একটি ছোলার ডালের আঁকা রবীন্দ্রনাথের ভিডিও বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে পাঠিয়ে দেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ তার দক্ষতা যাচাই করে। অবশ্যই সফল হয় সে, তারপর পৌছে যায় আন্তজার্তিক শংসাপত্র।