চলতি বছরের শুরু থেকেই একটা দিনও ভালো কাটায়নি কেউ। বছর শেষ হতে চলল কিন্তু তবুও কাটছে না খারাপ সময়। একদিকে করোনা আতঙ্কে ভুগছে সকলে। এরই মাঝে নরকের হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এবার কি হবে তাহলে?
নিশ্চয়ই সকলে খুব ভয় পেয়ে গিয়েছেন? সত্যিই কি নরকের হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা মনে এই প্রশ্নই আসছে? আসলে এক অপরিচিত গ্রহের রূপ এটি। যার হদিশ মিলতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ও স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপে ধরা দিয়েছে এই গ্রহ। যার নাম হেল এক্সোপ্ল্যানেট।
বিজ্ঞানীদের মতে, এই গ্রহের একদিকের তাপমাত্রা জ্বালিয়ে দেবে আর অন্যদিকে কনকনে জমে যাওয়ার মতো ঠান্ডা। গনগনে লাভার সমুদ্র রয়েছে ওই গ্রহে। ক্রমশ উল্কাবৃষ্টি হচ্ছে। ঝোড়ো হাওয়ার তোলপাড় হয়ে হচ্ছে গোটা গ্রহ। ঠিক অন্য পিঠেই হাড় হিম করা ঠান্ডা বরফে ঢাকা তুষারপাত চলছে। ওই গ্রহে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গ্রহের নক্ষত্র তার অক্ষের চারিদিকে ঘোরে না। এক জায়গায় স্থির থাকে।
সূত্র বলছে যে এই বিজ্ঞানীরা সদ্য আবিষ্কৃত এই গ্রহটির বিজ্ঞানসম্মত নামকরণ করেছেন কে২-১৪১বি। বোঝাই যাচ্ছে যে এই নামকরণ করা হয়েছে গাণিতিক হিসেবের দিক থেকে। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁরা এই গ্রহটিকে হেল প্ল্যানেট বা নরক বলেও অভিহিত করেছেন। নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ ও স্পিৎজার স্পেস টেলিস্কোপে ধরা দিয়েছে এই গ্রহ।