নিউজবিনোদন
Trending

চোখের জলে বন্যা বইছে রিয়া চক্রবর্তীর, হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন সুশান্তের প্রেমিকা

Advertisement
Advertisement

বলিউড হার্টথ্রব সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই একাধিকবার অভিনেতার মৃত্যুর জন্য আঙ্গুল উঠেছে তারই বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। অভিনেতার মৃত্যুর পরই অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সুশান্তের বাবা। গোটা দেশ মেতেছিল ‘জাস্টিস ফর সুশান্তে’। এরই মাঝে সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদে ময়দানে নামে সিবিআই। তদন্তের নেমেই একের পর এক নয়া তথ্যের হদিশ মেলে। সম্প্রতি সুশান্ত মৃত্যু রহস্যে ড্রাগ বা নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। আর তাতেই ফেঁসে যায় সুশান্ত বান্ধবী রিয়া।

গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করছে তদন্তকারীরা। মঙ্গলবারও রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে তদন্তকারীরা। এনসিবির জেরার মুখে পড়ে রিয়া স্বীকার করেন সে ড্রাগ নিতেন। এমনকি মাদক সেবন করতেন নিয়মিত। আর তারপরই এদিন গ্রেফতার করা হয় রিয়াকে। এদিনই হেফাজতে নেওয়া হল রিয়াকে। গ্রেফতার হওয়ার পর কেঁদে ফেললেন রিয়া চক্রবর্তী। বেশ কয়েক দিন ধরেই এনসিবির দফতরে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে রিয়া চক্রবর্তীকে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ৮১ দিন পর গ্রেফতার হলেন রিয়া। NDPS আইনের ৬৭ নম্বর ধারায় রিয়া চক্রবর্তী তাঁর দোষ কবুল করেছেন বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, রিয়ার মেডিকেল টেস্ট করা হবে তার জন্য রিয়ার রক্ত ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।মাদক টেস্টও করা হবে তাঁর। বুধবার সৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডার সঙ্গেই রিয়াকে আদালতে তোলা হবে বলে খবর।

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই রিয়া বলিউডের বহু সেলেবদের নাম বলেছে যারা মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত। তবে, তারা কারা তা এখনও জানা যায়নি। অন্যদিকে, সোমবার রিয়া মুম্বই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সুশান্তের দুই বোনের নামে। তাঁর দাবি সুশান্তের বোনেরাই অভিনেতার মৃত্যুর জন্য দায়ী। প্রসঙ্গত, গত ১৪ জুন বান্দ্রায় সুশান্ত সিং রাজপুতের নিজের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার মৃতদেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা। যদিও তা মানতে নারাজ সুশান্তের পরিবারের লোক থেকে অনুরাগীরা। এরই মাঝে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে সিবিআই।

আর তারই মাঝে সমস্যা ঘটায় এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। সেই চ্যাট থেকেই নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্রের হদিশ পায় ইডি। সেই সমস্ত চ্যাটে মারিজুয়ানা, এমডিএমএ, সিবিডি ওয়ালের মতো বিভিন্ন নিষিদ্ধ মাদকের নাম উল্লেখ ছিল। আর সেই চ্যাট গুলি বিনিময় হয়েছিল রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, জয়া সাহা, ও গোয়ার হোটেল ব্যবসায়ী গৌরব আচার্যর মধ্যে। সেই অনুযায়ী গত শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর মাদক সেবন ও পাচারের অভিযোগে সৌভিককে গ্রেফতার করে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জেরার মুখে সৌভিক চক্রবর্তী স্বীকার করে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্তের বাড়িতে রিয়ার নির্দেশেই আনা হত মাদক। আর সেই ড্রাগ কেনা হত স্যামুয়েল মিরান্ডার মাধ্যমেই। সুশান্ত সিং রাজপুতের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আটক করে ইডি। অন্যদিকে রবিবার,
NCB- আধিকারিকরা রিয়াকে প্রশ্ন করে সে তার ভাই সৌভিক চক্রবর্তীকে দিয়ে মাদক আনাতেন কিনা,সেই প্রশ্নের জবাবে রিয়া বলেন ‘হ্যাঁ’। সূত্রের খবর, ১৭ মার্চ অর্থাৎ সুশান্তের মৃত্যুর তিনদিন পরেও মোটা টাকার বিনিময়ে যে ড্রাগ কেনা হয়েছিল জায়েদের থেকে, তাও তিনি জানতেন।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles