চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বের ফল হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান, ইসলামাবাদের ওপর চাপ বাড়াল বেজিং
চীন-পাকিস্থান বন্ধুত্বের কথা সকলেরই জানা। কিন্তু চীন এবার নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে পাকিস্থানকে বিপাকে ফেললো। চীন পাকিস্থান অর্থনৈতিক করিডর নিয়ে বিরাট খেলা শুরু করেছে বেজিং। তার তারই মাশুল দিতে হচ্ছে পাকিস্থানকে। পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বালোচিস্তানের বালেচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে বেজিং। এই বিষয়ে পাকিস্থানকে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে চীন।
চিনের মূল দাবি এটাই যে, পাকিস্তান যেন বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব রাখে। সূত্রের খবর, চীন চাইছে আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক ভালো করতে। আর তাদের এই উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করার জন্য চীন চাইছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিএলএ-র ইস্যুতে বক্তব্য রাখুক পাকিস্থান।
উল্লেখ্য বিএলএ বালোচিস্তানের স্বতন্ত্র শাসনের জন্য লড়াই করছে। এরমধ্যেই এই গোষ্ঠী নিষিদ্ধ তকমা পেয়েছে পাকিস্থানে। পাকিস্থান ছাড়াও এই গোষ্ঠী নিষিদ্ধ তকমা পেয়েছে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও। চীন পাকিস্থানকে আশ্বাস দিয়েছে যে, পাকিস্থান যদি রাষ্ট্রসংঘে এই গোষ্ঠিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা দেওয়ার জন্য দাবি তোলে তাহলে পাকিস্থানে সবরকমভাবে সমর্থন করবে বেজিং। তবে চীনের এই নির্দেশকে মোটেই সহজভাবে নিচ্ছে না পাকিস্তান। ইসলামাবাদ চায় দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেশের মধ্যে নিজেরাই মেটাতে। এই সমস্যা আন্তর্জাতিক স্তরে উঠুক এমনটা চায়না পাকিস্থান।
জিংপিং সরকার ২০১৬ সাল থেকে সিপিইসি প্রজেক্টের মাধ্যমে পাকিস্তানের নির্মাণ ও পাওয়ার জেনারেশন সংক্রান্ত প্রজেক্ট কবজা করতে চাইছিল। কিন্তু পাকিস্থান সরকার এমন প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। শেষপর্যন্ত নাকি সেই প্রস্তাবেই সায় দিয়েছেন ইমরান খানের সরকার। ‘এশিয়া টাইমস’-এ প্রকাশিত আলি সলমন আনদানির একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, জিংপিং এর ইচ্ছা পূরণ করতে চলেছেন ইমরান খান। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা রয়েছে, পাকিস্তানের প্ল্যানিং মিনিস্ট্রি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর ওইখানেই নজর চীনের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ওই মন্ত্রকের বহু গোপন তথ্য ইতিমধ্যেই চিনের হাতে চলে গিয়েছে। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, চীন এই প্রজেক্টের মাধ্যমে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের একাধিক দেশে আধিপত্য বিস্তার করবে।