নতুন বছরের শুরুর দিকে শৈত্যপ্রবাহের রেশ কম থাকলেও দ্বিতীয় মাস থেকেই শীতে অস্থির অবস্থা রাজ্যের মানুষের। জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি করার মধ্যেই, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির সতর্কতার পাশাপাশি হিমালয়ের বিভিন্ন এলাকায় ফের তাজা তুষারপাতে ঠান্ডা বাড়ার সম্ভাবনা জানিয়ে দিল আবহাওয়া দপ্তর৷ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই তেজি শীত অনুভূত হচ্ছে৷
দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় শৈত্য প্রবাহ বৃদ্ধির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, একান্ত প্রয়োজন ছাড়া রাতে ও ভোরে বৃদ্ধ ও শিশুদের বাড়ি থেকে না বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতার ফলে মানুষজনের স্বাভাবিক জীবনযাপনে প্রচণ্ড অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। মৌসম ভবন এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এখনই শীত থেকে বাঁচার কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই। আফগানিস্তানের উপর দিয়ে যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা তৈরি হয়েছে তার প্রভাব হিমালয়ে মঙ্গলবার থেকেই পড়েছে৷ আর এই প্রভাবের ফলেই সমতল এলাকায় এখন ঠাণ্ডা থাকবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে ৩ ও ৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, গিলগিট বালিস্তান, মুজফ্ফরাবাদ, হিমাচল প্রদেশের কিছু অংশে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে৷ আগামী ৪ ও ৫ তারিখে উত্তরবঙ্গেও এই পরিস্থিতি থাকবে৷
আইএমডি-এর তথ্য অনুযায়ী, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বেশ কিছু অংশে বরফপাত ও বৃষ্টি হয়৷ মৌসম বিভাগ অনুযায়ী, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগরের খাঁড়িতে নিম্ন হাওয়া এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মিলনের ফলে পাঞ্জাব , হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তর রাজস্থান, উত্তর-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ , পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতেও বজ্র-বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে।