নানান সময়ে নানান ধরনের অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশবাসী। এমনকি বধূ নির্যাতনের মতো ঘটনারও প্রমাণ মিলেছে। কিন্তু আর কতদিন এই প্রশ্নের উত্তর যখন জানতে চায় সকলে ঠিক তখনই সামনে এলো আরও এক অমানবিক ঘটনা। টানা দেড় বছর শৌচাগারে বন্দী গৃহবধূ আর নেপথ্যে তারই স্বামী। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথ জেলার রিশপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ৩৫-র ওই গৃহবধূর সাথে ১৭ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল নরেশ কুমারের। কিন্তু হঠাৎই দেড় বছর আগে কি এমন হলো যে ওই গৃহবধূকে আটকে রাখতে হলো শৌচালয়ে। এই প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত স্বামীর দাবি তার স্ত্রী মানসিক সমস্যা রয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতেই তাঁকে এতোদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছিল। যদিও অভিযুক্তর উত্তর কথাটা সঠিক তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
৩৫ বছরের ওই গৃহবধূ এতদিন ধরে একটা ঘুঁপচি অন্ধকার শৌচালয়ের মধ্যে আটকে রয়েছেন সে খবর প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে ওঠে মহিলা ও শিশুকল্যাণ দফতরের কর্মীদের। ঘটনার খবর পেয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে জেলার মহিলা সুরক্ষা আধিকারিক রজনী গুপ্তা উদ্ধার করেন ওই মহিলাকে। পুলিশকর্মীদের নিয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালায় জেলার মহিলা সুরক্ষা আধিকারিক। ওই মহিলাকে উদ্ধারের পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর।
Haryana: A woman who was allegedly locked inside a toilet for over a year by her husband was rescued by Women Protection&Child Marriage Prohibition Officer in Panipat.Victim's husband claims that she is mentally unstable. Police say,"Complaint has been filed,action will be taken" pic.twitter.com/HVriII2jwj
— ANI (@ANI) October 15, 2020
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৪৯৮ ও ৩৪২ ধারায় ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত করে জানা গিয়েছে ওই গৃহবধূর তিনটি সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বয়স পনেরো,দুই ছেলের মধ্যে একজনের বয়স ১১ ও অন্য জনের ১৩। যদি সত্যিই মানসিক সমস্যা থাকে ওই গৃহবধূর তাহলে চিকিৎসকের কাছে না নিয়ে গিয়ে কেনও এই ধরনের ঘটনা ঘটলো ওই ব্যক্তি সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।