দেশনিউজ

তোলপাড় গোটা দেশ, হাথরস কান্ডে তুলকালাম ঘটালেন দুই আসল বীরাঙ্গনা

সমস্ত বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে।

Advertisement
Advertisement

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীকে ধর্ষণ কান্ডে গোটা দেশ উত্তাল। সমস্ত বিরোধী দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ যোগী আদিত্যনাথ সরকারের প্রশাসনের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। তবে এই গুলো তো বাইরের দৃশ্যপট। এই ঘটনার ক্ষেত্রে প্রধান সূত্রধর হয়ে রয়ে গেলেন দুই জন সাংবাদিক। যাঁরা এখন আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু। এই দুই জনের মধ্যে একজন সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ, নিরপেক্ষতার প্রতি নন। আর অন্যজনের মতে, জীবনের আসল বিষাদময়তা হল বেঁচে থাকতে থাকতে নিজেদের ভিতরের বোধগুলোকে মেরে ফেলা। এই দুই সাংবাদিক হলেন- তনুশ্রী পান্ডে এবং প্রতিমা মিশ্র। যাঁরা হাথরসের দুই আসল বীরাঙ্গনা। বর্তমানে দেশের আকাশে উজ্জ্বল দুই নক্ষত্র।

ইন্ডিয়া টুডে-র সাংবাদিক তনুশ্রী পান্ডের টুইটার বায়োতে লেখে রয়েছে, ‘ননকনফরমিস্ট অ্যান্ড হিউম্যানিস্ট। আই ইনসিস্ট অন বিয়িং ট্রুথফুল, নট নিউট্রাল’। অর্থাৎ প্রথাবিরোধী এবং মানবতাবাদী। আমি সত্যের প্রতি দায়বদ্ধ, নিরপেক্ষতার প্রতি নয়। আর এবিপি নিউজের সাংবাদিক প্রতিমা মিশ্রের ইনস্টাগ্রামে রয়েছে নরম্যান কাজেন্সের উদ্ধৃতি, ‘দ্য ট্র্যাজেডি অব লাইফ ইজ নট ডেথ। বাট হোয়াট উই লেট ডাই ইনসাইড অফ আস হোয়াইল উই লিভ’। অর্থাৎ মৃত্যু জীবনকে বিষণ্ণ করে না। জীবনের আসল ট্র্যাজেডি হল সেটা, যেটা জীবিত অবস্থায় আমরা নিজেদের ভিতরে মেরে ফেলি’।

হাথরস কান্ডে গভীর রাতে নির্যাতিতার দেহ কাঠের অগোছাল চিতায় চড়িয়ে জ্যারিকেন থেকে তরল ঢেলে দেশলাই জ্বালিয়ে সেটা পুড়িয়ে দিচ্ছে যোগীর পুলিশ। আর এই দৃশ্য গোটা দেশের সম্মুখে তুলে ধরেছেন ইন্ডিয়া টুডে’-র সাংবাদিক তনুশ্রী এবং তাঁর ক্যামেরাপার্সন ওয়াকার আহমেদ। এই দৃশ্যের সাথেই ওই সাংবাদিক টুইটে লেখেন, “অবিশ্বাস্য! আমার ঠিক পিছনেই হাথরাস মামলার মৃতার দেহ পুড়ছে। পুলিশ তার পরিবারকে ঘরে আটক করে রেখেছে। আর সকলের অগোচরে লাশ পোড়াচ্ছে।” এখনও পর্যন্ত সেই দৃশ্য দেখেছেন প্রায় ৩৩ লক্ষ মানুষ।

অন্যদিকে আরেক সাংবাদিক প্রতিমা মিশ্রকে যখন পুলিশ ওই গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছিল না। তখন সে গলা চড়িয়ে বলছেন, ‘অর্ডার কোথায়? গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার অর্ডার কোথায়? অর্ডার! অর্ডার! অর্ডার! অর্ডার! অর্ডার! অর্ডার! অর্ডার!’’ তিনি পুলিশের মুখে ঠুসে ধরছেন চ্যানেলের বুম। ক্রমাগত প্রশ্ন করছেন। কোনোমতেই থামছেন না তিনি। এমনকি যখন প্রতিমাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়েছে। তখনও তিনি মাইক্রোফোন বাড়িয়ে দিচ্ছেন সামনের সিটে বসে থাকা মহিলা পুলিশকে ক্রমাগত প্রশ্ন করেই যাচ্ছেন। আর এই ভিডিও এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৪ লক্ষের বেশি মানুষ দেখেছেন।

Related Articles