দেশনিউজ

বেসরকারি ট্রেনগুলোতে মিলবে মেট্রো রেলের থেকেও অত্যাধুনিক পরিষেবা, তালিকা দেখলে অবাক হবেন

দেশজুড়ে ১০৯টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
Advertisement

ভারতীয় রেলকে বেসরকারিকরণের প্রস্তুতি প্রায় শুরু হয়ে গিয়েছে। দেশজুড়ে ১০৯টি রুটে ১৫১টি ট্রেন চালানোর দায়িত্ব প্রাথমিকভাবে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নিলামের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হবে সংস্থাগুলোকে। সরকারি কর্তাদের ধারণা, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ৩০ হাজার কোটি টাকার লগ্নি আসবে। জানা গেছে, প্রতিটি ট্রেনে ১৬ টি করে কোচ থাকবে। বেসরকারি সংস্থাগুলো যাতে ভারতের কাছ থেকে ট্রেনের কোচ কেনে সেই বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

স্বাভাবিভাবেই এখন ট্রেনের ভাড়ার থেকে কিছুটা ভাড়া বেশি হবে। তাই রেলমন্ত্রক থেকে শুরু করে বেসরকারি সংস্থাগুলি যাত্রীদের মধ্যে পরিষেবা নিয়ে যাতে কোনো অভিযোগ না থাকে সেই দিকে বিশেষ নজর রাখছে। এই ট্রেনগুলোকে মেট্রো এবং ভারত এক্সপ্রেসের মতো আধুনিকরন করার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এই ট্রেনগুলোতে পাবলিক অ্যাড্রেস অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেম, ইনফর্মেশন ডিসপ্লে, ডেস্টিনেশন বোর্ড, ইলেক্ট্রনিক স্লাইডিং দরজা এবং যাত্রী সার্ভিলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে।

জানা গেছে, বেসরকারি ট্রেন পরিষেবা ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ধীরে ধীরে শুরু হবে। রেলমন্ত্রকের থেকে রিপোর্ট পেশ করে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, যতদিন না মেট্রো রেলের মতো ট্রেনগুলোর সমস্ত কামরার দরজাগুলো ইলেক্ট্রিকালি বন্ধ হচ্ছে ততদিন ট্রেন চালু হবেনা। নতুন বেসরকারি ট্রেনগুলো হয় ডিস্ট্রিবিউটেড পাওয়ার টাইপ নয়তো পাওয়ার হেড টাইপের হবে, গতকাল রেলমন্ত্রকের জারি করা রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে। এই ট্রেনগুলোতে ইঞ্জিনের মুখ পরিবর্তন করতে হবে না। দুই প্রান্তেই থাকবে ট্রেন চালকের আসন। সুতরাং দুদিকেই চালানো যাবে ট্রেন। এই ট্রেনগুলোর গতিবেগ ১৮০ কিমি/ ঘণ্টা। ট্রেনগুলো মাত্র ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডে ০ থেকে ১৬০ কিমি গতিবেগে পৌঁছাতে পারে।

রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ট্রেনগুলোতে ডবল-গ্লেজড সেফটি কাচের তৈরি জানলা, ইমার্জেন্সি টক-ব্যাক মেকানিজম থাকতে পারে। ট্রেনগুলোতে জিরো ডিসচার্জ টয়লেটের ব্যাবস্থা থাকবে। এছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে এই ট্রেনগুলোতে থাকছে ইমার্জেন্সি ব্রেক। যার দ্বারা ১৬০ কিমি স্পিডে থাকা ট্রেনকেও মাত্র ১২৫০ মিটারের কম দূরত্বে পুরোপুরি থামিয়ে ফেলা সম্ভব।

Related Articles