দেশনিউজ

চীনকে কড়া নজর রাখতে সীমান্তের আকাশে চক্কর কাটল রাফাল, ফের বৈঠকে ভারত-চীন

আসলে লাদাখের ভৌগলিক অবস্থানের সঙ্গে পরিচিত হবার জন্যই বায়ুসেনার পাইলটরা রাফাল যুদ্ধ বিমান চালিয়ে আম্বালা থেকে উড়়ে যাচ্ছেন।

Advertisement
Advertisement

লাদাখে উত্তেজনা জারি রয়েছে। আগস্ট মাসের শেষের দিক থেকে আবার পূর্ব লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে ফের বৈঠকে বসতে চলেছেন দুই দেশের কর্তারা। এই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকায় চক্কর কাটছে রাফাল যুদ্ধ বিমান। আসলে লাদাখের ভৌগলিক অবস্থানের সঙ্গে পরিচিত হবার জন্যই বায়ুসেনার পাইলটরা রাফাল যুদ্ধ বিমান চালিয়ে আম্বালা থেকে উড়়ে যাচ্ছেন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর আম্বালায় বায়ু সেনার ঘাঁটিতে এই পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমানের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি হয়েছিল। আর তারপর ঠিক ১০ দিনের মধ্যেই নজরদারির কাজ বুঝে নিতে শুরু করেছেন রাফালের পাইলটরা। ভারতীয় এক সেনা জানিয়েছেন, এর আগেও একাধিকবার রাফাল যুদ্ধ বিমানগুলিকে লাদাখে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে সেই সময় দূর থেকেই নজরদারি চালানো হয়েছিল। তবে এবার শত্রু দেশের আতঙ্ক বাড়িয়ে রাতেও টহলদারি চালিয়েছে রাফাল।

ভারত সবদিকথেকেই প্রস্তুতি সেরে রাখছে। শুধু রাফাল দিয়েই নয়, পূর্ব লাদাখ ও এলএসির মূল সীমান্তের বিমান ঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই মোতায়েন রেখেছে সুখোই ৩০, এমকেআই জাগুয়ার, মিরাজ ২০০০ -র মত যুদ্ধ বিমানগুলি। । একচড়া অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টারের সাথেই ভারী সামগ্রী বহনের জন্য চিনুক হেলিকপ্টারও মোতায়ন রয়েছে।

এছাড়া সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাতের বেলা হামলার জন্যই ভারতীয় বায়ুসেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এয়ারবেসগুলিতে বিশেষ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। তবে ভারত এখনও বৈঠকের মাধ্যমেই পরিস্থিতির সমাধান করতে চাইছে। তাই সোমবার ভারত-চিন সামরিক বৈঠক রয়েছে চুসুল সীমান্তের ওপারে মোলডোতে। সূত্রের খবর অনুযাযী, সামরিক কর্তাদের পাশাপাশি এই বৈঠকে বিদেশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্মকর্তারা হাজির থাকতে পারেন।

Related Articles