“মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু,মুসুলমান” বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সেই কবিতা সম্প্রীতির বার্তা বহন করে। আর এই সম্প্রীতি রক্ষা করাই তো ভারতের সম্পদ ও ঐতিহ্য। তবে ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদ কিন্তু এখনও চলছে। কিন্তু এই ধর্ম নিয়ে ভেদাভেদের মধ্যে এক অন্যন্য নজির গড়লেন মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের বাবাভাই পাঠান। তিনি মুসলিম হয়ে সম্পূর্ণ নিজের খরচায় বিয়ে দিলেন দুই হিন্দু ধর্মের তরুণীকে। আর এখন এই ব্যক্তির কৃতিত্বের কথা নেটদুনিয়াতে ভাইরাল। ব্যক্তির এই মহৎ কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সবাই।
বাবাভাই পাঠান মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের বাসিন্দা। তাঁর বাড়ির পাশেই বাস করেন এক বিবাহবিচ্ছিন্না হিন্দু মহিলা। ওই দুই তরুণী তাঁরই সন্তান। বিয়ের পাত্র জোগাড় করে ফেলেছে ওই তরুণীদের মা। কিন্তু বিয়ে দেবার সামর্থ্য নেই। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করে শ্বশুরবাড়িতে চলে আসার পর থেকে বহু কষ্টে তিনি মেয়েদের বড় করেছেন। সেই থেকেই তাঁদের পাশে আছেন বাবাভাই পাঠান। ওই মহিলা রাখিপূর্ণিমার দিন বাবাভাইকে রাখি পরিয়ে ভাই বলে সম্বোধন করেছেন।
এতদিন সুখে-দুঃখে সব সময় তিনি ওই পরিবারের পাশে থেকেছেন। এইবারই পাশে পেলেন ভাইকে। মেয়েদের বিয়ের টাকার জোগাড়ের জন্য সাহায্য যান ওই মহিলা। ধর্মপ্রাণ মুসলিম ব্যক্তি বাবাভাইও কাউকে শূন্য হাতে ফেরাতে পারেন না। নিজের কাঁধে ওই তরুণীদের বিয়ের দায়িত্ব তুলে নেন। কোভিড বিধি অনুসরণ করে হিন্দু নিয়মকানুন মেনে দুই মেয়ের বিয়ে দেন। তাঁদের মায়ের থেকে বিয়ের খরচ বাবদ এক পয়সাও নেননি বাবাভাই। বরং নিজের পয়সা খরচ করে বিয়ে দেন তিনি।
এই ঘটনাটি আরিফ শাহ নামে এক সাংবাদিক প্রথম টুইট করেন। তারপরেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই ঘটনা এক নজির সৃষ্টি করেছে। এই কাহিনী জানার পরেই নেটিজেনরা কুর্নিশ জানিয়েছেন বাবাভাই পাঠানকে।
Muslim man Bababhai Pathan, from Ahmednagar, Maharashtra, has adopted two orphan sisters & wedded them from his own expenses according to the Hindu rituals. He has been widely praised for his humanitarian work across the country. pic.twitter.com/zLIQP76JnS
— Aarif Shah (@aarifshaah) August 23, 2020