প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার, কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য কর সংস্কারের কথা ঘোষণা করবেন। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল, খুব সহজে কর জমা এবং ফেরত দেবার মধ্য দিয়ে সৎ করদাতাদের সুবিধা দেওয়া। জানা গেছে, সিবিডিটি অর্থাৎ সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস কর দাতাদের সুবিধার জন্য যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সেগুলো অনুসরণ করেই কর সংস্কারের যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
গত কয়েক বছর ধরে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বেশকিছু বড়মাপের সংস্কার করেছে। যার মধ্যে গত বছর কর্পোরেট ট্যাক্সের হার অনেকটাই কমানো হয়েছে। বর্তমান কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ শতাংশ এবং নতুন ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটের জন্য কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এদিকে তুলে দেওয়া হয়েছে ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স। এখন কর সংস্কারের মূল লক্ষ্য হল করের হার কমানো এবং প্রত্যক্ষ কর আইন আগের থেকে সরল করা। সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস, আয়কর দপ্তরের কার্যক্ষমতা দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার মধ্যে ডি আই এন এবং প্রিফাইলিং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন অন্যতম। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে করদাতাদের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। করদাতাদের বিভিন্ন ক্ষোভ এখনও রয়েছে অ্যাপিলেট কোর্টে। সেইগুলোও কমানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
লকডাউনের শুরুর প্রথমের দিকে প্রধানমন্ত্রীর করোনা মোকাবিলায় ২০ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করার পরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন টিডিএস এবং টিসিএস কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন। করদাতাদের কাছে নগদের ব্যাবস্থা হচ্ছে সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে।