চাপে পড়েই সিদ্ধান্ত বদল করছে নেপাল সরকার। দীর্ঘ ৯ মাস পর ভারতীয় আধিকারিকদের সাথে বৈঠকে বসতে চলেছেন নেপালের প্রশাসনের কর্তারা। আগামী ১৭ আগস্ট ওই বৈঠক হবে বলে জানা গেছে। বর্তমান সময়ে নেপাল সরকারের টালমাটাল অবস্থা। একদিকে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর চাপ আর অন্যদিকে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ নেতাদের চাপ, এই দুই দিক থেকে চাপ আসার ফলে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মার গদি বেশ নড়বড় করছে। আর তাই সম্ভবত বরফ গলছে, আর স্বাভাবিক হতে শুরু করছে দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্ক।
এই বৈঠকে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। নেপালের প্রশাসনিক মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নেপালের যে সমস্ত প্রকল্পে ভারতের বিনিয়োগ আছে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এর পাশাপাশি বর্তমানে দিল্লি ও কাঠমান্ডুর সম্পর্কের ভিত আগের মত মজবুত নয়। তাই সেই সমস্যা সমাধান করার ব্যবস্থা হতে পারে বলে বিশেষ সূত্র মারফত জানা গেছে।
এই প্রসঙ্গে নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গেওয়ালী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তাদের কাছে আলোচনায় বসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্ত নিয়ে মতভেদ তৈরী হয়েছে, তাই বলে কাজকে স্থগিত রাখা যাবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে আজ বা কাল সীমান্ত নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে। এখন হচ্ছে না বলে হাত গুটিয়ে বসে থেকে লাভ নেই। সবাকে একসাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাবার বার্তাও তিনি দেন। নেপালের বিদেশমন্ত্রীর কথায় দুই দেশের সম্পর্ক ঠিকঠাক করার বার্তাই মিলেছে।
১৭ আগস্টের এই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। নেপালের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন বিদেশমন্ত্রকের সচিল সাঙ্কের দাস বৈরাগী।