বর্তমানে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জেরে নাজেহাল গোটা দেশবাসী। প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। কিন্তু চলতি বছরের শেষে রয়েছে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন পরের বছরই। তাহলে এই মারাত্বক করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কিভাবে হবে বিধানসভা ভোট? সেই নিয়ে অনকদিন ধরেই নানা প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু শুক্রবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা জারি করেছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানায়, প্রচার পর্ব থেকে শুরু করে ভোট দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত প্রার্থীকে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। প্রতি বিধানসভা কেন্দ্র , জেলা ও রাজ্যস্তরে নোডাল হেলথ অফিসার নিয়োগ করতে নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। এছাড়া আরও বলা হয়েছে যে,মনোনয়ন পত্র জমা দিতে প্রার্থীদের না গেলেও চলবে। তারা অনলাইনেই জমা দিতে পারবেন মনোনয়ন পত্র, হলফনামা। সিকিউরিটি মানিও অনলাইনের মাধ্যমেই জমা দেওয়া যাবে। আরও জানানো হয়েছে, প্রার্থীরা যখন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাবেন তখন প্রার্থীর সাথে ২ জনের বেশি সঙ্গী বা দুটির বেশি গাড়ির অনুমতি দেওয়া হবেনা।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য প্রতি বুথে থার্মাল গান থাকবে। নির্বাচন সংক্রান্ত যেকোনো কাজে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। এছাড়া ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে একসাথে পাঁচ জনের বেশি যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রোড শো করতে নিষেধাজ্ঞা নেই, কিন্তু পাঁচটির বেশি গাড়ি ব্যাবহার করা যাবেনা। করোনা আক্রান্ত রোগীরাও ভোট দিতে পারবে কিন্তু ভোটগ্রহণের শেষের দিকে।
জানানো হয়েছে, প্রত্যেক ভোটারের থার্মাল গান দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্ধারণ করা তাপমাত্রার থেকে বেশি তাপমাত্রা যদি কারও ধরা পড়লে তার ২য় বার চেক করা হবে। দ্বিতীয়বারও যদি একই ফল মিলে তাহলে তাকে ভোট গ্রহণ শেষের দিকে আসতে বলা হবে। এছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রতি ভোটারকে গ্লাভস দেওয়া হবে, যাতে ইভিএম থেকে করোনা সংক্রমিত না হয়। রাজনৈতিক দলের ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্যও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।