Advertisements

ভারতে আছড়ে পড়ল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ভয়ানক পরিস্থিতি মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ চার স্ট্রাটেজির ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

Advertisements

দিন প্রতিদিন লাগামছাড়া ভাবে করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল গোটা দেশ, আর সেই কারণেই বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জল্পনা চলছিলো আবারো কি হতে চলেছে দেশ জুড়ে লকডাউন! এই আশঙ্কা কে আপাতত একেবারে উড়িয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর হবে না দেশে লকডাউন, এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মোদি। তবে করণা সংক্রমণে চেন ভাঙতে ৪ নয়া স্ট্র্যাটিজির ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর।

হিরইন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউন এর বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন এই মুহূর্তে দেশে লকডাউন এর কোনো প্রয়োজন নেই সঠিক কাঠামো অভাবে আগেরবার লকডাউন করতে হয়েছিল তবে এবার তেমন পরিস্থিতি এখনো আসেনি তবে দিন প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমণ বেড়ে চলেছে তাতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র আর সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী এদিন কড়াভাবে জানিয়ে দেন দেশের করোনার পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নেই আর তাই এই চেন ভাঙতে ৪ নয়া স্ট্র্যাটিজি ঘোষণা মোদির।

১. একজন করোনা সংক্রামিতের সংস্পর্শে এসেছেন এমন ৩০ জনকে খুঁজে বার করতে হবে। এটি সম্ভব হলেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের চেন ভাঙ্গা যাবে।

২. করোনার দ্বিতীয় ধাপের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ মানুষের গা ছাড়া মনোভাব, যতদিন মানুষ সচেতন না হবে এবং নিজেদের পরিবর্তন না করবেন ততদিন এই মহামারী থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে না, মানুষের এই গা ছাড়া মনোভাবের পেছনে এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রশাসনকে অনেকখানি দায়ী করেন এবং জানান প্রশাসনকে আরও বেশি করা হাতে ধরতে হবে বিষয়টিকে।

৩. তৃতীয় স্ট্র্যাটিজি হিসাবে প্রধানমন্ত্রী জানান এই মুহূর্তে পুরোপুরি লকডাউন না হলেও বিভিন্ন রাজ্যের ছোট্ট ছোট্ট কনটেইনমেন্ট জোন গুলির ওপর জোর দেওয়া হবে। এইসব মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন গুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করণ করতে হবে এবং বিশেষ নজরদারিতে রাখতে হবে। দেশে রাত ন’টা থেকে সকা ছ’টা পর্যন্ত হতে পারে নাইট কারফিউ। তবে এটিকে করোনা কারফিউ বলা হবে নাইট কারফিউ পরিবর্তন।

৪. দেশে টিকাকরণের উপর আরো বিশেষ করে জোর দিতে হবে। ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত হবে টিকাকরণ উৎসব। এই টিকাকরণ উৎসবে সকল ৪৫ বছরের উর্দ্ধের ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে।

Related Articles