১৯৪২ সালের ৯ ই আগস্ট অর্থাৎ আজকের দিনেই ভারতছাড়ো আন্দোলন থেকে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে জোর আওয়াজ উঠেছিল ব্রিটিশ ভারত ছাড়ো। এই দিনেই AICCTU সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের নেতৃত্বে উঠলো ভারত বাঁচাও আন্দোলনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের খপ্পর থেকে ভারতকে মুক্ত করে জনতার ভারত গড়ে তোলা।
সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আজ প্রায় আশি বছর পর ফের গোটা দেশে আওয়াজ উঠছে কর্পোরেট ফ্যাসিস্টরা ভারত থেকে দূর হঠো! দেশের আর্থিক অবস্থা একপ্রকার মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই বহু শ্রমিকদের রোজগার নেই। সংসার চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। তাই গত ১ আগস্ট থেকে শ্রমিকদের রোজগার, অধিকার ও মর্যাদার দাবি নিয়ে সারা দেশে চলছে ‘শ্রমিক বাঁচাও গণতন্ত্র বাঁচাও’ প্রচার অভিযান।
আজ গোটাদেশে নরেন্দ্র মোদীর সরকারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ‘ভারত বাঁচাও’ দিবস পালন করা হচ্ছে। আর এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে AICCTU সহ সমস্ত কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। গোটা দেশের প্রায় আড়াইশোটি কৃষক সংগঠনের সংগ্রামী মঞ্চ ‘সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় সমিতি’ এর তরফ থেকে আজকের দিনটিকে ‘কিষাণ মুক্তি দিবস’ হিসাবে পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে।’
ট্রেড ইউনিয়নগুলি তাদের দাবির কারণ হিসেবে জানিয়েছে যে,‘কৃষি ক্ষেত্রের কর্পোরেটিকরন ও কেন্দ্র সরকারের পাশ করানো কৃষক বিরোধী সমস্ত আইনের বিরুদ্ধে সারাদেশে কৃষক সংগঠনগুলি প্রতিবাদে নেমেছে। শ্রমিক কৃষক সংগঠনগুলির সংহতিতে রোজগার ও মর্যাদার দাবি তুলে আজ ঐতিহাসিক দিনে দেশব্যাপী প্রতিবাদ দিবস পালন করছে বিপ্লবী যুব অ্যাসোসিয়েশন।