নিউজরাজ্য

অপূর্ণ রইল ঘর বাধার স্বপ্ন, মৃত প্রেমিকার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে নজির গড়ল প্রেমিক

Advertisement
Advertisement

কথায় বলে ‘প্রেমে যার মজে মন কি বা হাঁসি কি বা ডোম’। একবার যদি কারুর মন প্রেম ভালবাসায় জড়িয়ে যায় তাহলে সেই মানুষ হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক ডেসপারেট। বাড়ির লোক যদি প্রেমিক বা প্রেমিকার মনের মানুষকে মেনে না নেয় তাহলে বাড়ির লোককে মানানোর জন্য ঘটাতে পারে আত্মহত্যার মত ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনাও। আর এবার ঠিক তাই ঘটলো পূর্ব বর্ধমানে।

প্রতিবেশী যুবকের প্রেমে পরে পূর্ব বর্ধমানের নাদন ঘাট থানার দোগাছিয়ার বাসিন্দা তনিমা মন্ডল। স্থানীয় দোগাছিয়া হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল তনিমা। তনিমা স্কুলছাত্রী থাকায় তার বাড়ি থেকে প্রতিবেশী ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করা হয়। কিন্তু ওই যে প্রেম। প্রেমে পড়ে মানুষ নিজের পছন্দের মানুষকে হারানোর চেয়ে নিজের জীবন দিয়ে দেওয়াকেই বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আর তনিমাও তাই করলো। প্রেমিকের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করতে বাড়ি থেকে চাপ দেওয়াতেই আত্মহত্যা করেন তনিমা। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘর থেকে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহ ঘর থেকে বের করে উঠোনে রাখা হয়। সকলে কান্নায় ভেঙে পড়ে তাদের বাড়ির মেয়ের মৃত্যুতে। আর তখনই ঘটে যায় এক অদ্ভুত ঘটনা।

ঘটনাস্থলে আসে মৃত তনিমার প্রেমিক। আর তার পরের ঘটনা সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। মৃত তনিমার সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে রাঙিয়ে দেয় তনিমার প্রেমিক। ওই যুবকের এইরকম কান্ডতে সকলের হা হয়ে যায়। এই ঘটনায় ওই যুবককে ধরে ধরে প্রতিবেশীরা উদুম মারধোর করে। কোনরকমে প্রাণ বাঁচিয়েছে সেখান থেকে ছুট দেয় যুবক।

মৃত তনিমার সঙ্গে ওই যুবকের ভালোবাসার সম্পর্ক বেশ কয়েকদিন ধরেই গড়ে উঠেছিল। তনিমার বাড়িতে ওই যুবক মাঝেমধ্যেই যেত ফোনেও যোগাযোগ ছিল তাদের। কিন্তু তনিমার সাথে প্রতিবেশী যুবকের সম্পর্ক মানতে নারাজ ছিল তনিমার পরিবারের সদস্যরা। তাকে বারবার বারণ করেছিল ওই যুবকের সঙ্গে মেলামেশা যাতে না করে। এমনকি ওই যুবককেও বাড়িতে আসতে বারণ করে দেয় তনিমার বাড়ির লোকেরা। এরপরেই আত্মহত্যার মতো সাংঘাতিক পথ বেছে নেয় তনিমা। যদিও তনিমার মৃত্যুর জন্য তার পরিবার তনিমার প্রেমিককে ই দায়ী করেছে।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles