বিবাহ একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি অথচ বর্তমানে যেভাবে পরকীয়া বেড়ে চলেছে তাতে সামাজিক বন্ধন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রেমের টানে নিজের পরিবার, বা ছেলে মেয়েকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর ঘটনা হামেশাই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এবার যেই ঘটনাটি ঘটেছে তা অবাক করার মতো। এক গৃহবধূর কান্ড কারখানায় তাজ্জব হওয়ার জোগাড়।
ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা শিশির বাগানে। এক বিবাহিতা মহিলার সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয় কোচবিহারের এক যুবকের। বিবাহিতা ওই মহিলার নাম সোমা দাস। তারপর সেই সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, ঘনিষ্ঠ হতে থাকেন তারা। এরপর শেষমেষ লকডাউনেই কুচবিহার থেকে সোজা বিবাহিতা প্রেমিকার বাড়ি এসে হাজির হন ওই প্রেমিক। তারপর দুজন মিলে লুকিয়ে বিয়েও করে ফেলেন। কিন্তু অবাককর ঘটনা এরপরেই দেখা যায়। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন ওই মহিলা তার দুই স্বামীকে নিয়েই একই বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
এরপর মহিলার প্রথম স্বামী মনোজিৎ দাস থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার স্বামীর অভিযোগ প্রেমিকের সাথে জোট বেঁধে তার ওপর অত্যাচার করতেন তার স্ত্রী, মানসিক অত্যাচারও চলতো। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রেমিক পরিতোষ মন্ডল কে আটক করেছে বেহালা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে ওই দম্পতির একটি 16 বছরের ছেলেও রয়েছে। তারা এও জানান ওই মহিলা তার প্রেমিকের সাথে কৌশিকী অমাবস্যার দিন এক মন্দিরে বিয়ে করেন। তারপর থেকেই প্রথম স্বামীর সাথে চলতে থাকে অত্যাচার। শনিবার প্রেমিক পরিতোষ মণ্ডলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।