ইতিহাসে প্রথম,আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস, চাপে ট্রাম্প
ইতিহাসে প্রথম, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ-শ্বেতাঙ্গ কোনও ব্যক্তি লড়াই করবেন। এটিকে জো বিডেনের মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে অনেকে।
মার্কিন নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বিডেন ট্রাম্পকে টেক্কা দিতে বিরাট সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে লড়াই করার জন্য জো বিডেন নির্বাচনে তার সঙ্গী হিসেবে অ-শ্বেতাঙ্গ এবং প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহিলা কমলা হ্যারিসকে বেছে নিলেন। ইতিহাসে প্রথম, আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ-শ্বেতাঙ্গ কোনও ব্যক্তি লড়াই করবেন। এটিকে জো বিডেনের মাস্টারস্ট্রোক বলে মনে করছে অনেকে।
একটা এমন সময় ছিল যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার লড়াইয়েও ছিলেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু ডেমোক্র্যাটদের দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে জো বিডেনের কাছে পরাজিত হয় হ্যারিস। দলের মধ্যে যখন অভ্যন্তরীণ নির্বাচন হয়েছিল তখন একাধিক বিষয়ে বিডেনকে তুলোধোনাও করতেও ছাড়েনি কমলা। কিন্তু সেই বিডেনই এবার কমলাকে নিজের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন। আসল কারণ হল আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের মধ্যে ট্রাম্প খুবই জনপ্রিয়। আর আমেরিকায় বহু ভারতীয় বাস করে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দিতে কমলাকে বেছে নিয়েছেন বিডেন।
তাছাড়া আমেরিকায় কিছুদিন আগেই শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গের মধ্যে বিবাদ নিয়েও প্রচুর সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাই এই পরিস্থিতিতে একজন অ-শ্বেতাঙ্গকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করে কৃষ্ণাঙ্গদের সাপোর্ট পাওয়ার চেষ্টা করলেন বিডেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডেমোক্র্যাট নেতার এই মাস্টারস্ট্রোক ট্রাম্পকে নিঃসন্দেহে চাপে ফেলবে।
কমলা হ্যারিস হল জামাইকান ও ভারতীয় বাবা-মার সন্তান। এক সময় ডেমোক্র্যাট দলের একজন তারকা প্রার্থী ছিলেন কমলা। ২০১৭ সালে কমলা হ্যারিস প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা সেনেটর হিসেবে ক্যালিফর্নিয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া এর আগে ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সানফ্রান্সিস্কোর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি পদে ছিলেন কমলা। কমলা, বিডেন সহ ৫ জন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী প্রেসিডেন্ট লড়াইয়ে নেমেছিলেন। এবার রিপাবলিকানদের বিরুদ্ধে এরা একসঙ্গে লড়বেন। রিপাবলিকান দলের এখনও মূল মাথা ট্রাম্প-ই। তাই ট্রাম্প বিরোধী প্রচারই তার প্রধান হাতিয়ার হবে, এমনটাই মনে করছে কমলা।