পুরুষের সঙ্গে সঙ্গম ছাড়া ‘হাওয়ায়’ গর্ভবতী এই যুবতী! অদ্ভুত দাবি ঘিরে শোরগোল, শুরু তদন্ত
চাঞ্চল্যকর দাবী করলেন ইন্দোনেশিয়ার এক যুবতী। হাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় – তাঁর আরও দাবি, তিনি যে গর্ভবতী হয়েছিলেন, তা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রসবের মাত্র এক ঘণ্টা আগে! এমন অদ্ভুত দাবি শুনে প্রশাসন স্বাভাবিক ভাবেই হকচকিয়ে গিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই একটি শিশুকন্যার জন্ম দিয়েছিলেন বছর পঁচিশের ইন্দোনেশিয়ার বাসিন্দা সিতি জাইনা। দক্ষিণ দেশের পশ্চিম জাভা প্রদেশের বাসিন্দা তিনি। জানা গেছে, জাইনা ও তাঁর সন্তান বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ। জন্মের সময় শিশুটির ওজন হয়েছে ২.৯ কেজি। তবে, এমন অদ্ভুত উপায়ে গর্ভধারণের কথা শুনে অবাক সোশ্যাল মিডিয়া। এক স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি নিজের ঘরেই ছিলেন। এই সময়ই একটা হাওয়া যেন গোটা বাড়িটাকে ঘিরে ধরে নিয়েছিল। আর ঠিক তার পনেরো মিনিটের মধ্যেই তাঁর পেটে ব্যথা শুরু হয় এবং ব্যথা দ্রুত বাড়তে থাকে। এক স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
কিন্তু ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল? তা সম্পর্কে জাইনা জানাচ্ছেন, “বিকেলের প্রার্থনার পরে আমি শুয়েছিলাম। আর ঠিক তখনই ওই হাওয়া ঢুকে পড়ে ঘরের মধ্যে। আচমকাই আমি টের পাই একটা হাওয়া এসে আমার যোনির ভিতরে ঢুকে পড়ছে।” খবর যায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছেও এবং পরে জাইনার বাড়িতে আসে পুলিশ। এক পুলিশ মুখপাত্র জানিয়েছেন, “ওই মহিলার অস্বাভাবিক উপায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে আমরা এসেছি বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে। আমরা চাই না এই ধরনের দাবি থেকে কোনও গুজব ছড়িয়ে পড়ুক।”
প্রসঙ্গত, স্বামীবিচ্ছিন্না জাইনার আগেই একটি সন্তান রয়েছে। মাস চারেক আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর ডিভোর্স হয়। আপাতত গোটা গ্রামই যেন উপস্থিত জাইনা ও তাঁর সন্তানকে দেখতে। এমন আশ্চর্য ঘটনার কথা তাঁরা যে আর শোনেননি। কিন্তু মহিলার এমন দাবির পিছনে আসল সত্যিটা কী? মনে করা হচ্ছে এটা আসলে ‘ক্রিপটিক প্রেগন্যান্সি’ হতে পারে। এই ধরনের গর্ভধারণ পদ্ধতিতে মহিলারা বুঝতেই পারেন না তাঁরা অন্তঃসত্ত্বা। একেবারে প্রসব বেদনার সময় এটি ধরা পড়ে।