পিছিয়ে নেই ভারত। নিজের জায়গা পোক্ত করতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ভারত। চিনকে পদে পদে গোল দিচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত কুড়ি দিনে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অন্তত ছ’টি পাহাড়চূড়োর দখল নিয়েছে ভারত৷
ভারতের প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরেই আগ্রাসী মনোভাব দেখাচ্ছে চিন। তবে, ছেড়ে কথা বলছে না ভারত ও। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাহাড় চূড়োগুলির দখল নেওয়ার চেষ্টায় ছিল চিনও। কিন্তু ভারতের কাছে গো হারান হেরেছে। চিনের আগেই পৌঁছে যায় ভারতীয় জওয়ানরা। জানিয়ে রাখি চিনা আগ্রাসনের পর থেকেই আঁটোসাঁটো ব্যাবস্থা নেয় ভারত। লাদাখে তিন বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এম এম নারভানের ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই তাঁদের পরামর্শ মেনে প্রতিটি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতীয় সেনা৷
সংবাদসংস্থা এএনআইকে সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, যে ছ’টি পাহাড় চূড়োর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণরেখার এপারে ভারতীয় ভূখণ্ডেই অবস্থিত৷ চিনের সেনাবাহিনী এই পাহাড়চূড়ো গুলি দখল করার চেষ্টা করেছিল৷ সেই কারণেই প্যাংগং লেকের উত্তর থেকে দক্ষিণ অংশের মধ্যে অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে শূন্যে গুলি চালানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।তবে,কৌশলগত ভাবে ভারত অনেকটাই সুবিধেজনক অবস্থানে থাকল পাহাড় চূড়োগুলি দখলে থাকায়। যদিও চুপ করে নেই চিন। ইতিমধ্যেই রেজাং লা এবং রেচেন লা-র কাছাকাছি তিনহাজার অতিরিক্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে চিন। এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী এনে মোতায়েন করেছে চিনের সেনাবাহিনী, মলডো সেনা ঘাঁটি থেকে। ভারতীয় সেনা পাহাড় চূড়োগুলি দখল করতেই এই কাজ করে চিন৷
এই প্রসঙ্গে সরকারের ওই শীর্ষ আধিকারিক আরও জানান ‘যে পাহাড়চূড়োগুলি আমাদের বাহিনী দখলে নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে,রেজাং লা,গুরুং হিল, মগর হিল,মোখপরি, রেচেন লা ও ফিঙ্কার ফোরের কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় চূড়ো। ছটি গুরুত্বপূর্ণ পাহাড় চূড়োর দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী গত ২৯ অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে’ ।