একদিকে চিনা আগ্রসন, অন্যদিকে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পাকিস্তান। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিপত্তি বজায় রাখতে মোতায়েন হয়েছে বিভিন্ন দেশের ১৩০ টিরও বেশি রণতরী। মনে করা হচ্ছে যুদ্ধের দামামা বাজলো বলে। সাধারণত এতদিন ১০ দিন তীব্র যুদ্ধ করার মতো অস্ত্রশস্ত্র, রেশন মজুত করে রাখত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী। কিন্তু, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যকলাপ প্রশ্ন তুলেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তবে কি যুদ্ধ লাগলো বলে? জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ১৫ দিনের তীব্র যুদ্ধের জন্য অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ, রেশন মজুত রাখার এবং দ্বি-মুখী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনীকে।
রিপোর্টের খবর, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদনও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন বেশ কিছু নতুন অস্ত্র ও গোলাবারুদ, রণতরী সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকা প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করতে শুরু করেছে।
চিন ও পাকিস্তান, দুই প্রতিবেশীই যদি একসাথে আক্রমণ করে বসে তা মোকাবিলা করার জন্যই এই পদক্ষেপ। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী শীঘ্রই পূর্ব লাদাখ এবং চিন সীমান্তের অন্যান্য অঞ্চলে নজরদারির জন্য ইসরায়েল এবং আমেরিকা থেকে মিনি ড্রোন আমদানী করতে চলেছে। এই মাসেই এই সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে
একসময় ৪০ দিনের তীব্র যুদ্ধের জন্য অস্ত্র-গোলা-বারুদ মজুত রাখা হলেও যুদ্ধের প্রকৃতির পরিবর্তনের জন্য এই অস্ত্র সংরক্ষণের সময় ৪০ দিন থেকে ১০ দিন করা হয়। তবে, উরি হামলার পরপরই সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা বাহিনীর আর্থিক ক্ষমতা ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করা হয়। অন্যদিকে আজ কোলকাতার গার্ডেনরিচ জাহাজ কারখানা থেকে নৌবাহিনীর হাতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নীলগিরি শ্রেণির রণতরী তুলে দেওয়া হয়।