আন্তর্জাতিকনিউজ

পাকিস্তানে ফের ভাঙা হল মন্দির, হিন্দুদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন স্থানীয় মুসলিমরা

মন্দির ভাঙার পাশাপাশি সিন্ধ প্রদেশের ৩০০-র বেশি হিন্দু পরিবারের উপরেও আক্রমণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা।

Advertisement
Advertisement

ফের পাকিস্তানে হিন্দুদের উপর অত্যাচার। ফের পাকিস্তানে হিন্দু মন্দির ভাঙার অভিযোগ উঠল। মন্দির ভাঙার পাশাপাশি সিন্ধ প্রদেশের ৩০০-র বেশি হিন্দু পরিবারের উপরেও আক্রমণের চেষ্টা করেছিল দুষ্কৃতীরা। যদিও প্রতিবেশী মুসলিমরাই তাদের রক্ষা করে বলে জানা গিয়েছে। গত কয়েকদিনে সিন্ধ প্রদেশে হিন্দু মন্দিরের উপরে এই নিয়ে তিনবার হামলা হল।

পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের শীতল দাস কম্পাউন্ডে তিনশোর বেশি হিন্দু পরিবারের সঙ্গে বাস রয়েছে ৩০টি মুসলিম পরিবারেরও। সেখানের এক বাসিন্দা জানান যে কম্পাউন্ডের গেটের বাইরে অনেক উত্তেজিত জনতা এসে ভিড় করে। তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল হিন্দুদের উপরে আক্রমণ করা। তবে শেষপর্যন্ত মুসলিম প্রতিবেশীদের সাহায্যে হিন্দু পরিবারগুলির কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে এটাও জানা গেছে যে পুলিশ ও সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওখানকার এক হিন্দু বাসিন্দা জানান, ‘‘পুলিশও খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই ঘটনাস্থল‌ে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল।’’ তবে পরিবারগুলিকে রক্ষা করা গেলেও হিন্দু মন্দিরগুলিকে রক্ষা করা যায়নি। দুষ্কৃতীরা ভেঙে ফেলে মন্দির। আর এরপরেই ইতিমধ্যেই ৬০টি হিন্দু পরিবার ওই এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে।

পাকিস্তানের মাত্র ২ শতাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী রয়েছেন। আর একাধিকবার হিন্দুদের উপর অত্যাচারের খবর সামনে এসেছে। আর এরপরেই প্রশাসন কিছুই করছে না। প্রশাসন সবরকমের ব্যবস্থা নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও কোনো কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছে ওখানকার হিন্দুরা। কয়েকদিন আগে সিন্ধু প্রদেশের একটি মন্দিরে ঢুকে মন্দিরে থাকা দেবী হিংলাজের মূর্তি ভাঙচুর করে একদল দুষ্কৃতী। দেবী হিংলাজ ও তার বাহনের মুন্ডু ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে মাটিতে ফেলে দেয় ওই দুষ্কৃতীরা।

Related Articles