বলিউড মাদকচক্রে এবার নাম জড়িয়েছে দীপিকা পাড়ুকোনের। এরই মাঝে শনিবার এনসিবির সদর দফতরে এনসিবি আধিকারিকদের প্রশ্নের মুখে দীপিকা। এনসিবির জেরার মুখে পরেই মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ খুললেন দীপিকা পাড়ুকোন।
সুশান্ত মৃত্যুরহস্য ভেদ করতে নেমে বেরিয়ে এসেছে একাধিক বলিউডের চেপে রাখা ঘটনা। সুশান্ত মৃত্যু কাণ্ডে মাদক যোগে রিয়াকে গ্রেফতারির পর থেকেই বলিউডের মাদক যোগে নাম জড়িয়েছে বহু সেলেবের। ইতিমধ্যেই মাদক যোগে ফেঁসে গিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন।আর এরই মাঝে মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডিমিন দীপিকা পাড়ুকোনই এনসিবির কাছে সেটা বলে দিয়েছেন অভিনেত্রীর ম্যানেজার। এরই মাঝে শনিবার দীপিকাকে কেপিএস মালহোত্রার নেতৃত্বে এনসিবির আধিকারিকরা জেরা করছেন। এদিন সকাল ৯টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ একটি ছোট গাড়িতে চেপে কোলাবায় এনসিবির সদর দফতরে আসেন দীপিকা।অভিনেত্রী তাজ হোটেল থেকে এনসিবির-র গেস্ট হাউসে হাজির হন বলে খবর ।
জানা যাচ্ছে, এদিন দীপিকা ও তাঁর ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে একসঙ্গেই জেরা করা হচ্ছে।কিন্তু সূত্রের খবর, অভিনেত্রী ও তার ম্যানেজারের কথাবার্তায় অসঙ্গতি রয়েছে। এমনকি প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তরও দিচ্ছেন না। বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ তেই দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। তবে, এরই মাঝে এনসিবির জেরায় মাদক সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট-র কথা মেনে নেন দীপিকা। ইতিমধ্যে দীপিকার ফোন এমসিবি’র হেফাজতে বলে খবর।
উল্লেখ্য,২০১৭ সালের এক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ২০২০ তে কাল ঘাম ছুটিয়ে দিচ্ছে দীপিকার। সূত্রের খবর, সে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মাদক সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতো। আর সেই গ্রুপের অ্যাডিমিন ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলেন, করিশ্মা প্রকাশ, জয়া সাহা, ও দীপিকা। কিছুদিন আগেই তদন্তকারীরা এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটের হদিশ পায়। সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেই বিভিন্নজনের মধ্যে মাদক নিয়ে কথোপকথন হতো। সেখানেই’ ডি’ নামে একজন মাদক চেয়ে ম্যাসেজ করে। সেখানে তিনি ‘কে’ নামক এক ব্যক্তিকে মাদকের খোঁজ করতে বলেন। তিনি আবার অমিত নামক একজনকে ড্রাগ সরবরাহকারির খোঁজও দেন। সেই সূত্র ধরেই বর্তমানে এগোচ্ছে তদন্তকারীরা। আর সেই ভিত্তিতেই এদিন এনসিবির জেরার মুখে দীপিকা।