এমনিতেই চলতি বছর আর্থিক সংকটে ভুগছে প্রতিটি মানুষ। করোনা সংক্রমনের জেরে অনেকেরই পকেটে ধরেছে টান। এর জেরে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে নানান ধরনের জালিয়াতি কারবার। দেশের বাজারে ছেয়ে গিয়েছে জাল নোটে। চারিদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে নকল দু’হাজার টাকার নোট। কিন্তু কি করে বুঝবেন কোনটা আসল টাকা আর কোনটা নকল? হয়তো আপনার কাছেই যে দু’হাজার টাকার নোটটি রয়েছে সেটা নকল?
কষ্ট করে রোজগার করতে হয় সকলকে। কিন্তু পরে যদি জানা যায় তার কাছে জমিয়ে রাখা দু ’হাজার টাকার নোটটি নকল তাহলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার জোগাড় হয়। তবে চিন্তা নেই যাতে কোনভাবে সাধারণ মানুষ না ঠকে যায় তার জন্য আরবিআই বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে। যাতে সহজেই আসল আর নকলের ফারাক করা যায় ।
নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে ঠিক কিভাবে বুঝবেন কোন নোটটি আসল আর কোন নোটটি নকল। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে ধরা পড়বে জালিয়াতি। ২০০০ টাকার আসল নোটের সামনের দিকে থ্রেডে ভারত, আরবিআই এবং ২০০০ লেখা থাকবে। সবসময় মনে রাখবেন আসল নোটটি একদিকে কাত করার সময়, থ্রেডের রঙ সবুজ থেকে নীল হয়ে যাবে। ২০০০ নম্বরটির একটি লুকনো ছবি রয়েছে নোটে। দেবনাগরী হরফে ২০০০ নম্বরটি লেখা থাকবে আসল নোটে। নোটটি কাত করলে ডানদিকে, নীচের ২০০০ ডিজিটটি যে কালিতে লেখা ছিল সেটি সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হবে। আসল নোটের মাঝখানে অবশ্যই থাকবে মহাত্মা গান্ধীর ছবি, পাশাপাশি মাইক্রো লেটারে ভারত ও ইন্ডিয়া লেখা থাকবে। মহাত্মা গান্ধীর ছবির ডানদিকে গভর্নরের স্বাক্ষর সহ গ্যারান্টি ক্লজের সঙ্গে আরবিআই সিল থাকবে। ডানদিক থাকবে অশোক স্তম্ভের চিহ্ন। নোটের বা দিকে থাকবে নোট মুদ্রণের বছর। এমনকি থাকবে স্বচ্ছ ভারতের লোগো মঙ্গলযানের স্লোগান বিপরীত দিকে ।
জানিয়ে রাখি, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে ১০ কোটি জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। জানা যাচ্ছে পাকিস্তান ভারতে ২০০০, ৫০০, ২০০ টাকার জাল নোট পাঠাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি গুজরাটে ১২ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নকল নোট ধরা পড়েছে। পাঞ্জাবে ৫০ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।