পায়েল গাঙ্গুলি: লাদাখ সীমান্তে ভারত-চিন সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়েছে ভারত। বর্তমানে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ মজেছে দেশবাসী। এবার দেশজুড়ে ‘চিন ভারত ছাড়ো’ ডাক দিল ব্যবসায়ী সংগঠন।
চিনা দ্রব্য বয়কট করার দাবি তুলে আগামী ৯ আগস্ট কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেড (সি এ আই টি) সংগঠনের ব্যবসায়ীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে। এই আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে গোটা দেশে ৬০০টি শহরে চিন ভারত ছাড়ো কর্মসূচি পালন করা হবে। এই সংগঠন ইতিমধ্যেই সাফ জানিয়েছ, আগামী উৎসবগুলিতে দেশ জুড়ে চিনের পণ্য বয়কট করে ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করা হবে। জন্মাষ্টমী, গণেশ চতুর্থী থেকে নবরাত্রি দশেরা ধনতেরাস, দিওয়ালি হোক বা ভাই ফোঁটা, ছট পুজো যে কোনও ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হবে দেশীয় পণ্য।
চিনের পণ্য বয়কট করার ক্ষেত্রে এই ব্যবসায়ী সংগঠনের স্লোগান হল ‘ভারতীয় সামান- হামারা অভিমান’। এই সিএআইটি-র অধীনে রয়েছে ৪০,০০০ ব্যবসায়ী সংগঠন এবং তার সাত কোটি সদস্য। এ প্রসঙ্গে সিএআইটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ খান্ডেলকার জানান, এদেশের মানুষ ইতিমধ্যেই রাখি বন্ধনের দিন সিএআইটি-র প্রচার এর সমর্থনে সাড়া দিয়েছে। স্বনির্ভর ভারতীয় বাজার গড়ে তুলতে হবে যাতে চিনের উপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। গত ২০ বছর ধরে চিনা পণ্যে ভরে রয়েছে খুচরা বাজার আর এখন সময় এসেছে এই বাজারকে চিনের পণ্যের থেকে মুক্ত করার।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি চিনের আচরনে না মানতে পেরে এই ব্যবসায়ী সংগঠনটি জুন মাসে হিন্দুস্তানি রাখি পালনের ডাক দেয়। সংগঠনটি দাবি, প্রায় ৫০ কোটি রাখি বিক্রি হয়ে থাকে যার বাজার মূল্য ৬০০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে গত কয়েক বছর ধরে চিনা রাখি বিক্রি হয় ৪০০০ কোটি টাকা এবং বাজারের বাকি ২০০০ কোটি টাকা এদেশের রাখি প্রস্তুতকারীদের দখলে ছিল। তবে এই বছর দেশিয় রাখির দাপটে চিনের ক্ষতি হচ্ছে ৪০০০ কোটি টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও ব্যবসায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের দিয়ে এই সংগঠনটি নিজেরাই এক কোটি রাখি তৈরি করেছে এই বছর।