নিউজরাজ্য

রাজ্যে পরপর তিনদিন বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক, গভীর সংকটে সাধারন মানুষ

Advertisement
Advertisement

বাসমালিকেরা আবার আন্দোলনে সরব হলেন। এবার অবশ্য ভাড়া বৃদ্ধি নয়, ডিজেলের উপর ট্যাক্স কমানোর দাবিতে সরব হয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি অনুযায়ী, যেভাবে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে ভাড়া বাড়িয়েও বিশেষ লাভ হচ্ছে না। তাই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে পেট্রোপণ্যের উপর ট্যাক্স কমাতে হবেই। নাহলে সব বাস তুলে নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বৈঠকের পরেও তাদের দাবী বদল হয়নি। ৫ টি সংগঠন আগামী ২৯, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি পাবলিক বাস ও মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দিল। প্রসঙ্গত জানা গেছে, আগামী ২, ৩ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি ট্যাক্সি ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে ট্যাক্সি সংগঠনের পক্ষ থেকে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাস সংগঠনগুলির বৈঠকের পর তাদের পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হয়। আগামী ২৯, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয় রাজ্য জুড়ে। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট ছাড়াও আরও চারটি সংগঠন ধর্মঘটের এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানায়। এর ফলে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি, এমনিতেও রাস্তায় সরকারি বাস কম চলে। রাতের দিকে তো সরকারি বাসের টিকিও দেখতে পাওয়া যায় না। তার উপর বেসরকারি বাস ধর্মঘট হলে গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তির শেষ থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০২১ বিধানসভা ভোটের মুখে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই এখন রাজ্য সরকারের কাছে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে অনেক সাধারণ যাত্রীদের দাবি, ভোটের সুযোগ নিয়ে বাস মালিকরা এখন সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। তাঁদের কথানুযায়ী, “ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু লকডাউনের পর থেকেই বাসের ভাড়াও তো প্রতি ধাপে তিন টাকা, চার টাকা করে কন্ডাক্টররা বাড়িয়ে নিচ্ছেন লকডাউনের পর থেকে। এমনকি যত খুশি যাত্রীও তোলা হচ্ছে। তা হলে কেন প্রায় নিত্য এই ধর্মঘটের হুমকি দেওয়া হচ্ছে সংগঠন গুলির পক্ষ থেকে?”

অন্যদিকে, বাস মালিকরা দাবী করছেন, পেট্রোল-ডিজেলের উপর কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকার-ই একটু করে ট্যাক্সে ছাড় দিত, তাহলে তেল কিনতে তাঁদের সমস্যা হত না। আসলে বিশ্ব বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের যত দাম বাড়বে তত ট্যাক্সও বাড়বে দুই সরকারের। এবং এ বিষয়ে তাঁদের কোনও হেলদোলও নেই। এরপর ভোট ঘোষণার পর গেলে আর কোনও কিছুই করবে না সরকার। তাই এখন থেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আগামী ২৯, ৩০ এবং ৩১ জানুয়ারি বাস ও মিনিবাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ডিজেলের দাম কমানো, ওভারলোডিং বন্ধ-সহ একাধিক বিষয়ের উপর আগামী ২৯ জানুয়ারি পরিবহণ ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে ট্রাক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকেও। সব মিলিয়ে পেট্রো-পণ্যের উপর ট্যাক্স না কমালে সাধারণ মানুষরাও সমস্যায় পড়বেন।

Related Articles