প্রায় এক বছর ধরেই করোনা নামক মারণ রোগে আক্রান্ত বহু মানুষ, সেই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্ভাব্য টিকা নিয়ে গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া,ব্রিটেন,আমেরিকা, ইতালি সহ উন্নত দেশগুলি বিভিন্ন ধরণের টিকা তৈরি করে ফেলেছে। ভারত ও খুব একটা পিছিয়ে নেই। যদিও অফিশিয়ালি কবে থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই
এই রাজ্যের চিকিৎসক ও হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। চিকিৎসক দের কাছে পরশু থেকেই এই ঘোষণা অনুযায়ী এস এম এস-এর মাধ্যমে বার্তা পৌছাতে শুরু হয়েছে।
চিকিৎসক মহল থেকে পাওয়া সম্ভাব্য তথ্যানুযায়ী নতুন বছরের শুরু থেকেই টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু হতে পারে। গোটা দেশেই এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের তৎপরতা নজরাধীন। তথ্যানুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যগুলির প্রশাসন এর কাছ থেকে ইতিমধ্যেই সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছে। কেন্দ্র এই মর্মে রাজ্যগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছে যে করোনা টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে সঠিক তৎপরতা দেখাতে হবে। এই রাজ্যও টিকাকরণের ক্ষেত্রে সমস্ত রকমের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট টিকাকরণ কীভাবে হবে, সেই পদ্ধতি হাতে কলমে শেখানোর জন্য ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা করা হতে চলেছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল এবং পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হতে চলেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের তথ্যানুযায়ী যারা প্রথম সারিতে থেকে করোনা মোকাবিলায় তৎপরতা দেখিয়েছেন ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার আগে টিকা দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয় নিশ্চিত করতেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এস এম এস এর মাধ্যমে এই বার্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বার্তায় লেখা আছে,‘কোভিড-১৯ এর মোকাবিলায় একজন কোভিডযোদ্ধা হিসাবে আপনি যেভাবে রোগীদের পাশে থেকে তাঁদের সেবা করেছেন, তাকে সম্মান জানিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হবে’।
এই বার্তা পাওয়ার পর স্বভাবতই ভাবেই আশ্বস্ত হয়েছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তারা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে যাতে শুধু স্বাস্থ্যকর্মীই নয়, সাধারণ মানুষদেরও করোনার টিকা দেওয়ার ব্যপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
পরিচিত ত্বক বিশেষজ্ঞ কৌশিক লাহিড়ী ওই বার্তা পাওয়ার পর জানিয়েছেন, “এই সিদ্ধান্তে আমি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে শুধু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরই নয়, সমস্ত পুলিশ থেকে শুরু করে, সাফাইকর্মী এমনকি অ্যাম্বুল্যান্স চালক-সহ সকলকে অবিলম্বে বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের সুবিধা দেওয়া উচিত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, যাঁদের টিকা কেনার সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা যাতে টিকা কিনতে পারে,সেই ব্যবস্থাও করা উচিত।”
