পুজোর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে উদ্বোধন হলো বিশ্বের সবথেকে বড় হাইওয়ে টানেল অটল টানেলের। এবার এই রাস্তা দিয়ে সারাবছর যাতায়াত করা যাবে। টানেল উদ্বোধনের জন্য শনিবার সকাল ১০ টায় হিমাচলপ্রদেশে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী।
২০০০ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী সুড়ঙ্গপথটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০০২ সালের ২৬ মে টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে সেই টানেলের নাম ছিল রোহতাং টানেল। তবে, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর সেই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘অটল টানেল’।
তবে, এদিন টানেল উদ্বোধন করতে এসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে ভোলেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তাঁর সরকার যে গতিতে অটল টানেলের কাজ করেছে তাতে তারা ২৬ বছরের কাজ ৬ বছরে করে দেখিয়েছেন। এই তৎপরতা যদি আগের সরকার দেখাতো তাহলে এতদিনে টানেল তৈরির কাজ শেষও হয়ে যেত এবং প্রকল্পের খরচও কম পড়ত। এই টানেল যে শুধু হিমাচল প্রদেশ নয় দেশের আর্থিক এবং সুরক্ষা বৃদ্ধিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ তা একবারও ভেবে দেখা হয়নি’। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভারতের সীমান্ত পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে নয়া শক্তি দেবে অটল টানেল। বিশ্বমানের সীমান্ত যোগাযোগের উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি’।
বলে রাখি এই অটল টানেল দিয়ে প্রতিদিন যেতে পারবে ৩০০০ গাড়ি ও ১৫০০ ট্রাক। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। মানালি থেকে লেহ যাত্রার সময় বাঁচবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।এই টানেলের দৈর্ঘ্য ৯.২ কিলোমিটার আর প্রস্থ ১০.৫ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে তৈরি হয়েছে টানেল। এটাই বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গপথ।যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য টানেলের প্রতি ১৫০ মিটারে ফোনের সংযোগ, সিসিটিভি, প্রতি ৬০ মিটারে আগুন নেভানোর জন্য জলের সংযোগ তৈরি করা হয়েছে।