এমনিতেই অদৃশ্য ভাইরাস করোনা আতঙ্কে ভুগছে দেশ থেকে রাজ্যবাসী। এরই মাঝে এবার কোরান শিক্ষা নিয়ে সরব হলেন অসমের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সরকারের অর্থে আর নয় কোরান শিক্ষা সাফ দাবি হিমন্ত বিশ্বশর্মার।
হিমন্ত বিশ্বশর্মার সাফ কথা, ‘সরকারের টাকায় যদি কোরান শিক্ষা দিতে হয়, তাহলে বাইবেল ও ভগবত গীতাও শিক্ষা দেওয়া উচিৎ। তাই আমরা ঠিক করেছি, সরকারি টাকায় ওইসব ধর্মশিক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে’।
হিমন্ত আরও বলেন, ‘সরকারি অর্থে কোনও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে দেওয়া হবে না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষকদের স্কুলে নিয়োগ করা হবে। নভেম্বরেই এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে সরকার’।
জানিয়ে রাখি বর্তমানে ৬১৪টি সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসা রয়েছে রাজ্য। তার মধ্যে ৩টি ছেলেদের, ৫৭টি মেয়েদের আর বাকীগুলি কো-এড। তবে, অসমের শিক্ষামন্ত্রীর আরও অভিযোগ, রাজ্যের বহু মুসলিম যুবক হিন্দুর নাম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে হিন্দু মেয়েদের বোকা বানিয়ে তাঁদের বিয়ে করে। এই বিয়ে বৈধ নয়, বরং তা বেইমানির সমান। যদিও মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণার পরই বদরুদ্দিন আজমল মুখ খুলেছেন। এআইইউডিএফ সুপ্রিমো এবং লোকসভার সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলের হুঁশিয়ারি, বিজেপি সরকার সেই মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করলে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে এসে সেগুলি আবারও খুলবে তাঁর দল।