দেশনিউজবিনোদন
Trending

‘ক্ষমা করে দাও’, যোগী রাজ্যে গণধর্ষিতা তরুণীর মৃত্যুতে মুখ খুললেন অভিনেত্রী করিনা কাপুর

Advertisement
Advertisement

দিল্লির নির্ভয়া গণধর্ষণের স্মৃতি ফের একবার উস্কে দিল উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণের ঘটনা। ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে হার মানলেন উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষিতা মহিলা। ফের গণধর্ষণ কাণ্ডে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। প্রতিবাদে সরব সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটিরাও। এবার উত্তর প্রদেশ গণধর্ষণকাণ্ডে মুখ খুললেন কারিনা কাপুর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযুক্তদের যাতে কঠিন সাজা হয় সে বিষয়ে জোর গলায় দাবি করেন করিনা। নির্যাতিতা তরুণীর কাছে ক্ষমা ও চেয়ে নেন বেবো। শুধু করিনাই নয় বলিউড কুইন কঙ্গনাও মুখ খোলেন গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে। এই প্রসঙ্গে কঙ্গনা জানান, ‘সবার সামনে গুলি করে মেরে ফেলা হোক ধর্ষকদের। অক্ষয় কুমার, ফারহান আখতার, অনুষ্কা শর্মা সকলেই তীব্র নিন্দা করে এই ঘটনার।

প্রসঙ্গত, ঘটনার পর নির্যাতিতার ভাই জানান, ‘গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাথরস এলাকায় বাড়ির কাছেই একটি জমিতে মা ও আমার সঙ্গে জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন দিদি। বিকেলের দিকে আমি বাড়িতে চলে আসি। মায়ের থেকে কিছুটা দূরে ছিলেন দিদি। সেই সময় পিছন থেকে দিদিকে আক্রমণ করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। গলায় ওড়না পেঁচিয়ে টানতে টানতে একটি বাজরা খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে নৃশংস অত্যাচার চালায় ও গণধর্ষণ করে। পরে মা খুঁজতে খুঁজতে দিদিকে উদ্ধার করেন অচৈতন্য অবস্থায়’।

এরপর নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে জেএনএমসি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় নির্মম অত্যাচার চালানো হয়েছে তার উপর। প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টাও করে দুষ্কৃতীরা। মুখের একাধিক জায়গা, জিভে কামড়ের গভীর ক্ষত। শিরদাঁড়া ও ঘাড় মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অসাড় ছিল দুই পা এবং একটি হাত। আইসিইউ-তে রেখে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছিল তাকে বাঁচানোর। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় দিল্লির হাসাপাতালে পাঠানোর, পাঠানোও হয় সেখানে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যোগী রাজ্যে এই ঘটনায় ছি ছিৎকার করছে গোটা দেশ।

Web Desk

We belong to that group who are addicted to journalism. Behind us, there is no big business organization to support us. Our pens do not flow under any other’s commands.

Related Articles