নিউজরাজনীতিরাজ্য

রুদ্রনীলকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে ব্যান করা উচিৎ, বিস্ফোরক দাবিতে সরব অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী

Advertisement
Advertisement

তৃণমূলের যুবনেতা তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীর বিস্ফোরক দাবি, টলিউড নিষিদ্ধ করুক সম্প্রতি বিজেপি-তে যোগদান করা রুদ্রনীল ঘোষকে। ঘটনাচক্রে, ভোটেও লড়েছিলেন দু’জনে একসাথে ২০১৬ সালে। দু’জনে একদা তৃণমূলেই ছিলেন। এখন পেশাগত ভাবে একই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলেও এক দলে নেই। দু’জনকে পর্দায় এক সঙ্গে দেখা গিয়েছে। অনেক দিনের বন্ধুত্বও। রাজনীতি তাতে চোনা ফেলল। সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করল ধীরে ধীরে। অতঃপর বিস্ফোরণ! রুদ্রনীল টলিউডে মাফিয়ারাজের অভিযোগ তুললেন বিজেপি-তে যাওয়ার পর। আর এবার সোহম সরাসরি বললেন, ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত রুদ্রনীলকে।

গত বৃহস্পতিবার রুদ্রনীল বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে সরাসরি অভিযোগ করেন, ‘‘যত কলাকুশলী দরকার, তার চেয়ে দ্বিগুণ লোক নিতে বলা হচ্ছে। এই নিয়ম মানতে বাধ্য করা হচ্ছে প্রযোজকদের গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে। বসে বসে টাকা নিচ্ছে এই অতিরিক্ত লোকজন।’’ টলিউডে ‘মাফিয়ারাজ’ চলছে বলে তাঁর দাবি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তাঁরই ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী সোহম জানিয়েছেন, তিনি মানতে নারাজ রুদ্রনীলের ওই দাবি। সোহমের বক্তব্য, ‘‘আমি চাই রুদ্রনীলকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ করা হোক এই মন্তব্যের জন্য!’’ সোহমের নতুন ছবি ‘মিস কল’র প্রচারের ফাঁকেই এল বাংলার রাজনীতির প্রসঙ্গ। আসন্ন নির্বাচনে সোহমের কাঁধে প্রচার ও ভোটের দায়িত্ব এবং কোথাও কোনও খামতি রাখছেন না বলে অভিনেতা জানাচ্ছেন। কারণ, অভিনয় এবং রাজনীতি দু’টিই সমান গুরুত্বপূর্ণ যুব তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি সোহমের কাছে।

কিন্তু এখন রুদ্রনীল যতটা অভিনেতা, তার চেয়ে বেশি নেতা। তাঁর প্রসঙ্গে সোহমের বক্তব্য, ‘‘রুদ্রনীল যে ওই কথাটা বললেন, তিনি কি ভুলে গিয়েছেন, যে করোনার সময়ে কত কত মানুষ খেতে পাননি? একটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির মুখ চেয়ে বসেছিলেন কত লক্ষ মানুষ! এই সিদ্ধান্ত তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্যই। যাতে মানুষ কিছু রোজগার করতে পারে। আমি, রুদ্রনীল—আমরা তো একটা করে ভ্যানিটি ভ্যান পাই। কিন্তু ওই মানুষগুলো? তাঁদের মুখ থেকে সেটুকু অন্নও কেড়ে নিতে চান রুদ্রনীল? এ ভাবে আসলে তাঁদেরই অপমান করা হচ্ছে।” নিষিদ্ধকরণ ছাড়াও সোহম চান, রুদ্রনীলের মন্তব্যের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ জানাক টলিউডের কর্মীরা। সবাই বলুক, কেউ কাজ করবে না যতক্ষণ রুদ্রনীল সেটে থাকবেন। বস্তুত, সোহমের প্রশ্ন রুদ্রনীলের কাছে, এত সমস্যা যদি এতদিন ধরে যদি তাঁর হয়ে থাকে, তা হলে কেন আগে বলেননি? এখন তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন বিরোধী শিবিরে গিয়ে। ‘‘আর মাফিয়ারাজ? সেটা তো বিজেপি করছে! ক্ষমতায় না এসেই সায়নী ঘোষ, দেবলীনা দত্তের মতো অনেক মহিলাকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে!’’ ক্ষুব্ধ গলায় বক্তব্য সোহমের।

তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব তৃণমূলের পদাধিকারী সোহম বলছেন, ‘‘রুদ্রনীলকে তো মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মামনি’ বলে ডাকতে শুনেছি আমি। যেই বিজেপি-তে গেলেন, অমনি খারাপ কথা বলতে শুরু করলেন মায়ের নামে? আমি তো স্বপ্নেও ভাবতে পারি না! তা হলে কী করলেন রুদ্রনীল বসে বসে মাসে ৩ লক্ষ টাকা করে পেয়ে?’’ এখন দেখার, সোহমের এই মন্তব্যের জবাবে অমিত শাহের দিল্লির বাড়ি এবং ডোমজুড়ের জনসভায় বিজেপি-তে অভিষিক্ত রুদ্রনীল কি বলেন!

Related Articles