দিন দিন রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। রেশন সংগ্রহ, ভুয়ো কার্ড সংক্রান্ত অভিযোগ কিংবা দোকান পরিবর্তন সবকিছুতে এবার থেকে প্রযুক্তির ব্যবহার হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দফতর। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে রেশন দোকানে ব্যবহৃত ই-পস অর্থাৎ ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেল যন্ত্রে পরিবারের নতুন সদস্যেদের সংযুক্তিকরণের সুবিধা থাকবে না। তাই খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহে সমস্যা বাড়ার শঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের অনেকে অসুবিধা হবেনা বলে দাবি করেছেন।
রেশন বিভাগে কোনরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করতে নারাজ খাদ্য দফতর। সেই কারণে স্বচ্ছতার জন্য আধার এবং মোবাইল নম্বর যুক্ত হচ্ছে রেশন কার্ডের সাথে। এবার কোনো গ্রাহক চাইলে খুব সহজে রেশন দোকান পরিবর্তন করতে পারবেন। তার জন্য তাদের আর কাগজপত্রের ঝামেলা করতে হবে না। তারা মোবাইলে টেক্সট মেসেজ অর্থাৎ এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ভুয়ো রেশন কার্ড খুঁজে পাওয়ার বিষয়েও সাধারণ মানুষের ওপর ভরসা করছে খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতরের তরফে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে সাধারণ আমজনতা অনলাইনের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ জমা করতে পারেন।
খাদ্য দফতরের এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে দফতরের আধিকারিকদের মতে, সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন অনেক সময় জানতে পারেন কোন গ্রাহকের কার্ডটি ভুয়ো বা কে দুর্নীতি করে প্রাপ্যের থেকেও বেশি সামগ্রী সংগ্রহ করছে। ফলে তারা যদি অনলাইনের মাধ্যমে দফতরের কাছে সেই অভিযোগ করে তাহলে ভুয়ো কার্ড খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। এদিকে আগামী মাস থেকে ই-পস-যন্ত্রে থাকবে না পরিবারের নতুন সদস্যদের সংযুক্তিকরণের সুবিধা। এছাড়া এই যন্ত্রে ‘অ্যাড মেম্বার’ অপশনটি আর থাকবেনা। সেই ক্ষেত্রে নাম সংযুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে খাদ্য দফতরের ইনস্পেক্টরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।
ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর বক্তব্য, “সরকারের নির্দেশ মেনেই আমরা ই-পসে অ্যাড নিউ মেম্বার পদ্ধতি অবলম্বন করে জনতাকে সামগ্রী দিচ্ছিলাম। অ্যাড মেম্বার অপশন বন্ধ করার আগে সমস্ত কিছু আপডেট করে দেওয়া উচিত খাদ্য দফতরের। নাহলে আমজনতা সমস্যায় পড়বেন। রেশন দোকানের সঙ্গে গ্রাহকের ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।” যদিও খাদ্য দফতরের দাবি, এই ‘আপডেট’ খুব তাড়াতাড়ি করে ফেলা হবে।
