এক প্রানী ভিন্ন রূপ”-এই পৃথিবীর প্রাণীজগৎ কতই না বৈচিত্র্যময়। এক প্রানীর বিচিত্র রূপ যেমন ধরা পড়ে তেমন বিচিত্র স্বভাবের হাজারো প্রাণী ছড়িয়ে রয়েছে এই পৃথিবী জুড়ে। প্রাণী জগৎ যেন এক রহস্যের নাম, নানান রঙের নানান ঢঙের প্রানী দিয়ে সমৃদ্ধ এই জগত। পৃথিবীর আনাচে কানাচে যে পরিমাণ জীবজন্তুর পাখির খোজ মেলে তার কটায় বা আমরা জানি!!
এবার সম্প্রতি দেখা মিলল এক নতুন প্রজাতির মাকড়সার। তাও আবার বিদেশ ভূমিতে নয়, খোদ পশ্চিমবঙ্গে। কেশপুর সুকুমার সেনগুপ্ত মহা বিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুমন প্রতিহার ও স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র চন্দন দণ্ডপাট সন্ধান পেলেন নতুন মেগালোমর্ফ মাকড়সা।
গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে এই মাকড়সাটি ইডিয়পস গণের মাকড়সা। পশ্চিম মেদিনীপুরে নয়াগ্রাম নামক এক জঙ্গলে একটি মাকড়সা প্রথমে নজরে আসে। ঘটনাটি ঘটেছিল আগস্ট মাসে। ১৬ মিলিমিটারের এই লাল রংয়ের ভিন্ন ধরনের স্ত্রী মাকড়সা দেখে এর নামকরন শুরু হয়। মেদনীপুর থেকে উদ্ধার হওয়ায় নাম দেওয়া হয় ইডিয়পস মেদিনী।
আন্তর্জাতিক আরকোনোলজি জার্নাল সার্কেটের নভেম্বর সংখ্যায় এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। এই গবেষণাপত্রের প্রধান অধ্যাপক সুমন জানাচ্ছেন এই প্রথম বিজ্ঞানের কোন প্রাণীর নামের সাথে কোন জায়গার নাম জুড়ে গেছে। এই ধরনের মাকড়সার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানা গেছে যে এদের দাত সাপের মতো। সাধারন দেখতে পাওয়া মাকড়সার থেকে রূপে বৈশিষ্ট্যে আলাদা। ইডিয়পস মাকড়সা মাটিতে গর্ত করে বাসা তৈরি করে। গর্তের মুখ ছোট্ট একটি ঢাকনার মতোন অংশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। এই কারণে এদের ট্র্যাপডোর স্পাইডার বলে। ওয়ার্ল্ড স্পাইডার ক্যাটালগ এ সুমনদের আবিষ্কার গত ২ নভেম্বর নথিভুক্ত হয়েছে।