দেশজুড়ে বহু প্রতিবাদ, আন্দোলন চললেও সমাজের বর্তমান চিত্র একই রয়ে গেল। আবার একবার নারী নির্যাতনের ভয়াবহ রূপ দেখে শিউরে উঠল সমস্ত দেশবাসী। দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের বাদায়ুঁতে ঘটা ঘটনায় চমকে গিয়েছিল দেশবাসী। সেখানে মন্দিরের পুরোহিত ও তার সাঙ্গপাঙ্গ’রা মিলে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে, তাঁর গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে পাঁজর ভেঙে দিয়েছিল। এই পাশবিক অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছিল ওই মহিলার। তার কিছু সময় পরেই আবার গণধর্ষণ ঘটল, এবার ঘটনাস্থল রাজস্থানের নাগাউর।
পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, এক দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ করার পর তাঁর যৌনাঙ্গে কাচের বোতলের টুকরো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে ঘটনার তদন্ত করতে নেমে একজনকে গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি আরও দু’জনের সন্ধান চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে নিষ্ক্রিয়তা এবং গাফিলতি ও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলছে। তাঁরা বক্তব্য অনুযায়ী, গত ১৯ জানুয়ারি নির্যাতিতা ওই মহিলা দুধ আনতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিল। সে সময় তাঁর পথ আটকায় মূল অভিযুক্ত এবং বাকী দুই জন সঙ্গী। মহিলাটিকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তিন অভিযুক্ত মিলে জোর করে ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে চলে যায়। চলে অমানুষিক শারীরিক অত্যাচার৷ সকলে মিলে গণধর্ষণের পর তাঁর গোপনাঙ্গে কাঁচের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এরপর কোনও রকমে জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে বাড়ি ফেরেন ওই মহিলা।
তবে, পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই অভিযুক্তরা হুমকি দিতে শুরু করে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে। খুনের ভয়ও দেখানো হয়। সপ্তাহখানেক কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকতে বাধ্য হয় নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। ধর্ষিতা ওই দলিত মহিলা অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে, পরে অনেক চাপ দিলে তারা অভিযোগ গ্রহণ করে। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে পুলিশ।